বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দারিদ্রকে উপেক্ষা খরে মাধ্যমিকে সফল,চিন্তায় পরিবার

News Sundarban.com :
জুন ৭, ২০১৮
news-image

কারোর বাবা ভ্যানচালক,আবার কারোর মা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। দারিদ্রতার আঙিনায় পড়াশোনা করে সামান্য হলেও সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে সেই দারিদ্রতাই। কেউ বড় হয়ে হতে চায় ডাক্তার আবার কেউ বা চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেট।অর্থ কোথায় ? অদুর ভবিষ্যতে হয়তো স্বপ্ন ভেঙেও যেতে পারে,সেই চিন্তা ওদের পরিবারের রাতের ঘুম উবে গিয়েছে।দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিংয়ের ঘুঁটিয়ারী শরীফ বাহাদুর মোল্লা বিদ্যাপীঠ থেকে ৪৫৮ ও ৪০৭ পেয়ে পাশ মাধ্যমিক পাশ করেছে তারক ঘোষ,আশিষ ঘোষ।


তারক হতে চায় চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেট । বাবা শ্যামল ঘোষ রাজমিস্ত্রী অার মা লক্ষী ঘোষ কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন কোন রকমে অনটনের মধ্যে সংসার দিন গুজরান করে থাকে। আবার আশিষের বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক,মা গৃহবধু। ছেলেদের ভবিষ্যত কি হবে সেই চিন্তা চিন্তিত পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে সুচিত্রা পাত্র ক্যানিংয়ের নলিয়াখালি জি এন হরিনারায়ণী বিদ্যাপীঠ থেকে ৩৪০পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে আর রায়বাঘিনী

উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুল থেকে ৩১৬ পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে প্রীতিকা মন্ডল। দুজনেই ডাক্তার হয়ে সমাজ সেবার কাজ করতে চায়। আর সেই সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে বড় বাধা দারিদ্রতা।প্রীতিকার বাবা থাকলেও জন্ম থেকেই সাক্ষাৎ হয়নি। মা মলিনা মন্ডল কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করে এতোদিন মেয়ের পড়াশোনা খরচ যুগিয়ে ছিলেন। বর্তমানে মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য কোথা থেকে অর্থ পাবেন সেই চিন্তায় চিন্তা করে মেয়ে কে অার পড়াবেন না বলে কেঁদেই চলেছেন!
আবার সুচিত্রার বাবা রণজিৎ পাত্র এক জন দীনমজুর আর মা গৃহবধু, মেয়ের সাফল্যে প্রথমে আনন্দিত হলে ও বর্তমানে কি ভাবে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করবেন সেই চিন্তায় চিন্তিত !
দ্রারিদ্রতার গ্রাসে কি হারিয়ে যাবে আগামী দিনের নতুন প্রজন্ম ? ভবিষ্যতই বা কি কেউ জানে না!আগামী দিনে ওরা হয়তো হারিয়ে যাবে গভীর অন্ধকারে,সেই একরাশ চিন্তায় চিন্তিত পরিবার গুলো চাতকের মতো তাকিয়ে আকাশ পাণে!