শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকায় রেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

News Sundarban.com :
মে ২৪, ২০১৮
news-image

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে সনিয়া এবং রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে সীতারাম ইয়েচুরি, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, চন্দ্রবাবু নাইডু, তেজস্বী যাদব ৷ সকলেই উপস্থিত ছিলেন এদিনের মঞ্চে ৷ কিন্তু সেই শপথবাক্য পাঠের মঞ্চে সবথেকে বেশি সক্রিয় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গোটা স্টেজের উপরে হেঁটে বেরালেন তিনি ৷ এমনকী, সকল নেতাদের সঙ্গেই সৌজন্য বিনিময় করতেও ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?কর্ণাটকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ নীলামণি রাজুর সঙ্গে যথেষ্ট উত্তেজিত অবস্থায় তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়।একইসঙ্গে জেডিএস সুপ্রিমো দেবেগৌড়া এবং তাঁর ছেলে কুমারস্বামীকেও জানান তিনি ঘটনাটি ৷
জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেঙ্গালুরুর চালুক্য সার্কেল থেকে বিধান সৌধ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে আসতে বাধ্য করে পুলিশ। নিরাপত্তার কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছিল। প্রায় আধ ঘণ্টার মতো পায়ে হেঁটে তিনি শপথ গ্রহণ স্থলে পৌঁছন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেঁটে এলেও বেশকিছু ভিভিআইপি-দের একদম গাড়ি করে শপথগ্রহণস্থলের কাছে নামানো হয়। এইসব ভিভিআইপি-দের তালিকায় ছিলেন অন্যরাজ্যের কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী এবং সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে নিয়ম হলে সবার ক্ষেত্রে এক হওয়া উচিত। আর বিশেষ করে তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন তাঁকে যোগ্য সম্মানটা দেওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি ভিডিও-তে ডিজিপি নীলামণি রাজুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতেও দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাঁটা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বরং তিনি হেঁটে হেঁটেই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথ অতিক্রান্ত করেন। বিশেষ করে জেলা সফরে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজগুলো নজরে আসে সকলের। ফলে, আধ ঘণ্টা হেঁটে আসাটা যে বড় কোনও বিষয় নয় তা তিনি ডিজিপি নীলামণিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি যুক্তি একজন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে না কেন?
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কর্ণাটক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মী আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি হিসেবে ১৮ থেকে ২০টি গাড়ি আসার কথা ছিল ৷ যা সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় তারা ৷ একইসঙ্গে রাজ্যপাল এবং হবু মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি ছাড়া বাকি গাড়ি গুলির জন্য জিরো ট্রাফিকেরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না ৷ এমনকী, বিভিন্ন দিক থেকে গাড়িগুলি আসার জন্য সেই গাড়িগুলিকে কন্ট্রোল করাও যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ কিছু কিছু গাড়ি ট্রাফিক সিগনালে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে বলে জানিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি ৷