বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা মামলার মীমাংসা হল না হাইকোর্টে

News Sundarban.com :
মে ৮, ২০১৮
news-image

আজও পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা মামলার মীমাংসা হল না হাইকোর্টে । প্রধান বিচাপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান জানা যাবে বৃহস্পতিবার, বেলা ২টোর পর এই মামলার রায় দেবেন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। ফলে আজও ভাগ্য নির্ধারণ পঞ্চায়েত ভোটের ।
পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পৃথক পৃথকভাবে জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য ও কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, পঞ্চায়েত ভোটে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে ৬১ হাজার সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী। রাজ্য পুলিস, কলকাতা পুলিসের পাশাপাশি এবার ভোটে ব্যবহার করা হবে বনরক্ষী, আবগারিকর্মী, হোমগার্ড, এনভিএফ সদস্যদেরও। ভিন রাজ্য থেকে আসবে ২ হাজার সশস্ত্র পুলিস। একইসঙ্গে এবার পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করা হবে ৮০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারও। জানানো হয়েছে, বুথ পিছু একজন করে সশস্ত্র ও একজন লাঠিধারী পুলিস মোতায়েন করা হবে। অর্থাত্ কোনও একটি ভোটকেন্দ্রে যদি ৫টি বুথ থাকে, তবে সেই ভোটকেন্দ্রে ৫ জন সশস্ত্র ও ৫ জন লাঠিধারী পুলিস মোতায়েন থাকবে। কিশোর দত্ত আরও বলেন, ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ৩৫ হাজার সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল। এবার তার থেকে বাহিনীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য কমিশনের কাছে জানতে চান, ভোটের নিরাপত্তায় এই বাহিনী যথেষ্ট কি না? এরপর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে কমিশন আদালতে জানায়, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু কমিশনের দাবিকে সাফ খারিজ করে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানান, এই বাহিনী যথেষ্ট নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য কমিশন কি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে না, এদিন এই প্রশ্ন তোলেন খোদ প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। এরপরই বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণার কথা জানান তিনি।এদিন পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় কমিশনও। অন্যদিকে, আদালতে জমা দেওয়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্টের কপি তাদের দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলিও। ফলে কমিশন ঘোষিত ১৪ মে-ই পঞ্চায়েত ভোট হবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই গেল।