সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে ভাগাড়ে

ভাগাড়কাণ্ডে তোলপাড় শহর। আম আদমির খাবার প্লেটে পৌঁছে যেত চিড়িয়াখানার পশুদের উচ্ছিষ্ট মাংস। এ নিয়ে ক্রমশই দানা বাধছে রহস্য ৷ উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷ মরা পশুর মাংস নিয়ে কীভাবে চলত কারবার? আরও কারা যুক্ত এই চক্রে? জানতে উদ্যোগী তদন্তকারীরা। ভাগাড় রহস্যের জট খুলতে অভিযানে নেমে শুক্রবারই আলিপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছিল কলকাতা পুরসভার একটি বিশেষ দল । চিড়িয়াখানায় গিয়ে পুরকর্তারা জানতে পেরেছিলেন, পশুদের খাবারের উচ্ছিষ্ট বেশ কয়েক কেজি মাংস প্রতিদিন রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তি সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন । সেই উচ্ছিষ্ট মাংস দিয়ে কী করা হত ? সে সম্পর্কে জানতে উত্তর খুঁজতে রামপ্রীতের সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুরসভার কর্মীরা ৷ রামপ্রীতকে মাংস নেওয়ার অনুমতি দিলেও তা কী কাজে তা লাগছে, তা নিয়ে কি খোঁজখবর নিয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ? এই প্রশ্নটাও উঠে আসছে ৷ ভাগাড় চক্রের জাল আরও কতদূর ছড়িয়ে, তা বের করাই আপাতত তদন্তকারীদের চ্যালেঞ্জ।
ভাগাড়ে মৃত পশু আসার পরই তা তুলে নিয়ে গিয়ে, সেই মাংসের প্রক্রিয়াকরণ। তারপর ফ্রিজারে মরা পশুর মাংস সংরক্ষণ করে রেখে তা বাজারে-রেস্তরাঁয় সরবরাহ করা। তদন্তকারীরা বলছেন, চক্র নয়, পচা মাংসের পুরো একটা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে ভাগাড়ে নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। রাজপুর- সোনারপুর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ইতিমধ্যে ২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জানা গেছে, পুরসভার কন্ট্রোলরুম থেকেই এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। দিনকয়েকের মধ্যে আরও ১টি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। এছাড়া পুরসভা অফিস, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতেও চলছে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ।