হাতির ধূমপান নিয়ে ধন্ধে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা
‘ধূমপানরত’ এক হাতির ভিডিও নিয়ে ধন্ধে পড়েছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
আগে কখনও এমন বিস্ময়কর কাণ্ডের দেখা না পাওয়ায় তা নিয়ে দেশটির বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় নেমেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কর্ণাটক রাজ্যের নাগরহল জাতীয় পার্ক পরিদর্শনের সময় ভারতের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সোসাইটির (ডব্লিউ সি এস) বিজ্ঞানী বিনয় কুমারের ক্যামেরায় ধরে পড়ে ওই দৃশ্য।
৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে একটি হাতিকে প্রথমে শুঁড় দিয়ে কিছু একটা মুখের মধ্যে প্রবেশ করাতে দেখা যায়। এরপরই মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ে সে।
২০১৬ সালের ওই ভিডিওটি সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় বলে ডব্লিউ সি এসের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, প্রথমবারের মতো একটি হাতির এমন আচরণে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। কাঠকয়লার মধ্যে এমন উপাদান রয়েছ যা বন্যপ্রাণীদের স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকর।
হাতির ধূমপানের বিষয়টি এর আগে না ঘটে থাকলেও বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর নিজে নিজে স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন উপকারী গাছ চিকিৎসায় ব্যবহারের তথ্য প্রথম নয় বলেই জানিয়েছে স্মিথওনিয়ান নামের যুক্তরাষ্ট্রের এক সাময়িকী।
‘হাতির ধূমপানের বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতেই’ এতদিন ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী বিনয় কুমার। তবে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
ভিডিও ধারণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিনয় বলেছেন, তিনি এবং তার দল বনের মধ্যে বাঘের ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা রেখে দিয়েছিলেন। ওইদিন সকালে সেটিই দেখতে গিয়েছিলেন তারা।
এক পর্যায়ে ওই ক্যামেরার প্রায় ৫০ মিটার দূরে হাতিটির এমন আচরণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, বনের মধ্যে পুড়ে যাওয়া ভূমি থেকে কিছু একটা মুখে তুলে নিচ্ছে হাতিটি। খুব সম্ভবত কাঠ কয়লা গ্রহণ করে সে। এরপর কিছুটা মুখের মধ্যে রেখে বাকিটা ধোঁয়া হিসেবে ছাড়ে হাতিটি।
বিনয় বলেন, দেখে মনে হয়েছিল; হাতিটি ধূমপান করছে। শুঁড় দিয়ে তাকে ছাইও ফেলে দিতে দেখা যায়। এক পযর্যায়ে ধোঁয়াও ছাড়তে থাকে সে।
ভিডিওটি নিয়ে গবেষণা করা হাতি গবেষক বরুন আর গোস্বামী বলেন, খুব সম্ভবত হাতিটি কাঠকয়লা গ্রহণের চেষ্টা করছিল। পুড়ে যাওয়া বনের কোনও একটা কিছু সে মুখের মধ্যে নেয়। এরপরই ধোঁয়া ছাড়তে দেখা যায়।