শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যান্সার রোধী উপাদান স্ট্রবেরি

News Sundarban.com :
মার্চ ২৮, ২০১৮
news-image

কীটনাশক ব্যবহার করা স্ট্রবেরিতে স্বাভাবিক গুণাগুণ অনেক ক্ষেত্রেই নষ্ট হয়। তাই প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত স্ট্রবেরি বেছে নেওয়া উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ড. জন রেগানল্ড প্রাকৃতিক ও কীটনাশক দেওয়া স্ট্রবেরির উপর বিভিন্ন পরীক্ষা

চালিয়ে নিশ্চিত হন যে, কীটনাশক ব্যবহার করলে স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই গবেষক কীটনাশক ব্যবহার করা ও প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত স্ট্রবেরির মধ্যে তুলনামূলক মন্তব্য তুলে ধরেন।

স্ট্রবেরির সবচেয়ে বড় গুণ হল এর ক্যান্সার রোধী উপাদান। যদিও ক্লিনিকলি প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগের ফলে স্ট্রবেরির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপর প্রভাব রাখে এবং এর পুষ্টি উপাদান কমে যায়। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত স্ট্রবেরি ক্যান্সারের জন্য দায়ী ‘ফ্রি র‌্যাডিকেলস’ পরাভূত করতে পারে।

কীটনাশক দেওয়া স্ট্রবেরির তুলনায় প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত স্ট্রবেরিতে অ্যালার্জির উপাদান কম থাকে। সাধারণত ক্লোরোপিক্রিন নামক কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, মাথাব্যথা, ত্বকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদিও বিরল তারপরও খুব মারাত্মক বিষয় এই যে, গর্ভবতী অবস্থায় কীটনাশক যুক্ত স্ট্রবেরি খাওয়া হলে তা সন্তানের জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। প্রাকৃতিক স্ট্রবেরিতে এই ধরনের কোনো ঝুঁকি থাকে না।

ডা. রেগানল্ড’য়ের গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত স্ট্রবেরি বেশিদিন স্থায়ী হয়, এর স্বাদ ও গন্ধ অনেক বেশি ভালো হয়।

তিনি পরামর্শ দেন, “যদি তাজা ও ভালো স্ট্রবেরি খুঁজেন তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত স্ট্রবেরি বেছে নিন।”