সারা রাজ্য ব্যাপী গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীরা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে নেমেছে
সারা রাজ্য ব্যাপী গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীরা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে নেমেছে। ধর্মঘটের আজ দ্বিতীয় দিন। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের পেনশনের নামে যে ভাবে প্রহসন করা হচ্ছে তার প্রতিবাদেসারা রাজ্যে জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কর্মীরা। পেনশনের নামে আর প্রহসন নয় এই নিয়ে বিগত এক মাস ধরেই পথে নেমে আন্দোলন করছে ব্যাঙ্ক কর্মীরা। সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।
গত সোম থেকে নানান দাবিতে ইউনাইটেড ফোরাম অফ রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন তিন দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘট আজ দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, সারা দেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক গুলিতে কয়েক হাজার কর্মী কাজ করে। এদিকে চাকরি শেষে অবসর নেওয়ার পর তাদের দুই- আড়াই হাজার টাকা করে পেনশন দেয়। যা পেনশনের নামে প্রহসন করা হচ্ছে এই সব গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের। যেখানে সারা জীবন দিয়ে কাজ করল সেখানে অবসরের পর দুই আড়াই হাজার টাকায় কি হয়। এর প্রতিবাদে সারা দেশ জুড়ে আন্দোলনে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীরা। গতকাল থেকে মোট ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণদিনাজপুর জেলায় প্রতিটিগ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীরা ধর্মঘটেযোগ দেয়। আগামীকাল পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট। এদিকে তিন দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে সমস্যায় পড়েছে এই সব ব্যাঙ্কেরগ্রাহকরা। অন্য দিকে তিনদিনেরব্যাঙ্ক ধর্মঘটকে সফল করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এবিষয়ে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মী সুভাষ দাস জানান, পেনসনের নামে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের প্রহসন করা হচ্ছে। এরপ্রতিবাদে বিগত এক মাস ধরে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এনিয়ে দিল্লীতেও দরবার করেছেন তারা। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্মীদের প্রহসন বন্ধ করতে গতকাল থেকে সারা দেশ ব্যাপী আন্দোলনে নেমেছেন তারা। চলছে তিন দিনের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। তাদের দাবী মানা না হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।