বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র

News Sundarban.com :
মার্চ ২৭, ২০১৮
news-image

ফেডারেল ফ্রন্ট বা যুক্তরাষ্ট্রীয় জোটের শক্তি বাড়াতেই উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। নবান্নে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করে জোট উদ্যোগের সূচনা করে এবার দিল্লির দরবারে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে নিতে এলেন তৃণমূলনেত্রী। দিল্লীতে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা যাচ্ছে, আজ এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাত্ হতে পারে তাঁর। এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে উপস্থিত থাকবেন মমতা। আগামীকাল এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক রয়েছে। সেখানে অন্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সোনিয়া বা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের এখনও পর্যন্ত কোনও সময় ঠিক হয়নি। তবে বুধবার মমতা নিজেই ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতে পারেন। দু’দিন আগে সিমলায় অসুস্থতা বোধ করায় তড়িঘড়ি দিল্লি ফিরেছেন সোনিয়া। সেকথা জেনে ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধীকে দেখতে যেতে চান। কিন্তু রাহুল? তা নিয়ে কী কংগ্রেস, কী তৃণমূল কেউ কিছু বলছে না। এক প্রশ্নের উত্তরে টিএমসির সমর্থনে সদ্য নির্বাচিত পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস এমপি অভিষেক মনু সিংভি আজ বলেন, এরকম কোনও সাক্ষাতের খবর আমার জানা নেই।
একইসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, কংগ্রেসকে ছাড়া মোদি বিরোধী জোট সম্ভব নয়। একমাত্র কেসিআর ছাড়া অন্য কেউ কংগ্রেসকে বাদ দেওয়ার কথাও বলেননি বলেই দাবি করেন তিনি। সূত্রে খবর, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ১০ জনপথে মমতা দেখা করতে গেলে সেখানেই থাকবেন রাহুল। যেমন ছিলেন গতবার। আবার কংগ্রেসের একাংশ আগামীকালই সংসদের সেন্ট্রাল হলে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাক্ষাত করানোর তোড়জোড় করছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ এবং আহমেদ প্যাটেল এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মোদি বিরোধী জোট যাতে দ্বিখণ্ডিত না হয়, সেটাই কংগ্রেসের টার্গেট। শারদ পাওয়ারের সঙ্গে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে তিন দফায় বৈঠক করেছেন রাহুল। আর তার পরে পাওয়ারের সঙ্গে মমতার বৈঠক তাই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তৃণমূল সূত্রে যাবতীয় সাক্ষাতকে ‘সৌজন্য’ বলেই প্রচার করা হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালে মোদিকে হটানোর পণ করেছেন মমতা। টিএমসি প্রচারও শুরু করে দিয়েছে, ২০১৯-এ লালকেল্লায় আর নরেন্দ্র মোদিকে জাতীয় পতাকা তুলতে দেব না। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই মোদি বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় তৈরিতে নেমেছেন মমতা। কংগ্রেসকে এই জোটে রাখা নিয়ে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) আপত্তি রয়েছে। তবে মমতা এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেননি। দলীয় সূত্রের খবর, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ইউপিএ জোটে আপত্তি না থাকলেও রাহুলের নেতৃত্বে মোদি বিরোধী জোটে মমতার মত নেই। তাই আপাতত কংগ্রেসকে দূরে রেখেই তৃতীয় কোনও ফ্রন্ট তৈরি করা যায় কি না, সেটাই তৃণমূলনেত্রীর লক্ষ্য। সেই মতো একদিকে যেমন শারদ পাওয়ার, কেসিআরের মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, অন্যদিকে টেলিফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, চন্দ্রবাবু নাইডু, ডিএমকে’র এম কে স্ট্যালিনের মতো নেতাদের সঙ্গে। যোগাযোগ রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাউথ এভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে কেজরিওয়াল মমতার সঙ্গে দেখাও করতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।