শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে শুরু হল “বন বান্ধব উৎসব” শুরু হল

News Sundarban.com :
মার্চ ২৩, ২০১৮
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ

 পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনবিভাগের উদ্যোগে দু দিন ব্যাপী বন বান্ধব উৎসব শুরু হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ঝড়খালীতে। সুন্দরবনের ঝড়খালীর হেড়ভাঙা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের মাঠে বৃহস্পতি ও শুক্রবার  চলবে এই বন বান্ধব উৎসব। সুন্দরবনের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এই বন বান্ধব উৎসবে নিজেদের স্টল দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ। এছাড়া ও ছিলেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ী, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে সহ রাজ্য বন দফতর ও সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের শীর্ষ কর্তারা। এই অনুষ্ঠানে স্কুল বন্ধ করিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অংশ নিতে বাধ্য করায় উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

শুধুমাত্র বনকর্মীদের দিয়েই রাজ্যের বিশাল বনাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব নয়। সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন বনভুমির আশপাশে যে সমস্ত সাধারণ মানুষজন বসবাস করেন তাদের এই বন রক্ষার কাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এই বন বান্ধব উৎসবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। গত তিন বছর ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বন বন্ধুদের নিয়ে এই উৎসব চলছে। এবারে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবনের ঝড়খালীতে এই বন বান্ধব ২০১৮ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্য বন দফতর। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বন দফতরের আধিকারিকরা সকলেই বন বান্ধবদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাজ্যের বনভূমি ও বন্যপ্রান রক্ষায় তাদের বিভিন্ন অবদানের কথা ও সকলের সামনে স্বীকার করেন প্রত্যেকে। বনমন্ত্রী বলেন, “ শুধুমাত্র বনকর্মীদের দিয়েই রাজ্যের এই বিশাল বনভূমি রক্ষা সম্ভব নয়। বন বান্ধবরা এগিয়ে না এলে এই বিশাল বনভুমি এতোদিনে ধ্বংসের মুখে চলে যেত। যাতে বন দফতরের সাথে এলাকার মানুষের আরও সম্পর্ক নিবিড়  ঘনিষ্ঠ হয় সেই চেষ্টা ও করা হবে”। ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে এদিন বন দফতরের তরফ থেকে বন বান্ধবদের হাতে বিভিন্ন পুরস্কার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিনের অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের আসতে বাধ্য করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, “ ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকেই তো এ বিষয়ে আগে সচেতন করতে হবে। তারা সচেতন হলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বনভুমি রক্ষার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হবে। নিজেদের প্রান হাতে নিয়ে তাদের পরিবারের লোকেরা আর জঙ্গলে যাবে না”।