শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিষ্ণুপুর–তারকেশ্বর রেল সম্প্রসারণের কাজ আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

News Sundarban.com :
মার্চ ২১, ২০১৮
news-image

বিষ্ণুপুর–তারকেশ্বর রেল সম্প্রসারণের কাজে স্থানীয়দের একাংশের বাধায় আটকে থাকে কাজ , ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই কাজে জট ছাড়িয়ে সমস্যা মেটাতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠকে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদারের কাছে ওই রেল প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌কাজটি থমকে আছে কেন?’‌‌ মানসবাবু  জানান, রেলপথ সম্প্রসারণ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হয়েছিল। জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হতেই ভাবাদিঘি এলাকার কিছু সিপিএম কর্মী–‌সমর্থক আপত্তি করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট রেল সম্প্রসারণের কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। শুনে মুখ্যমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘‌কয়েকজন সিপিএম কর্মী চাইছেন না, তাই তারকেশ্বর–বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে!‌ মানুষের স্বপ্ন, রেলপথে বাঁকুড়ার সঙ্গে হুগলি জুড়বে। রেলপথ হবে, মানুষ যা চাইছে তাই হবে।’‌ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌ওখানে হঠাৎ এমন কী অসুবিধে হল?‌ সকলকে জমি বাবদ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য— সমস্তই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর কী চাই?‌’‌ বৈঠকে উপস্থিত জেলাশাসক সঞ্জয় বনশলকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, অবিলম্বে সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে যাবতীয় পদক্ষেপ  করতে। কাজ বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কড়া সমালোচনা করেন সিপিএমেরও। তিনি বলেন, ‘‌বাংলার উন্নয়নে এত বছর সিপিএম কী করেছে?‌ ওরা চায় না উন্নয়ন হোক। বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি, কামারপুকুর, তারকেশ্বর রেললাইন জুড়বে। এটা হুগলি এবং বাঁকুড়া দুই জেলার মানুষের স্বপ্ন।’‌  অন্যদিকে, জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরের উন্নয়ন প্রসঙ্গেও বিস্তারিত খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। কামারপুকুর–‌জয়রামবাটির যাবতীয় উন্নয়নে দ্রতগতিতে কাজ শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের উন্নয়নের কাজে খুশি হলেও, ফুরফুরায় উন্নয়নের কাজের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কাজে গতি বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সতর্ক করে দেন। পুরশুড়ায় একটি নতুন বালিকা বিদ্যালয় গড়ে তোলা এবং সিঙ্গুর থেকে চণ্ডীতলা সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ প্রসঙ্গে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন। হুগলি জেলার ধনেখালি এবং রাজবলহাটে বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। প্রতি বছর বন্যায় খানাকুল, উদয়নারায়ণপুর–‌সহ বেশ কয়েকটি জায়গার ক্ষয়ক্ষতি এবং গঙ্গাভাঙন রোধ প্রসঙ্গে বিভাগীয় আধিকারিকদের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী।‌‌