পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্যানিং এ বোমা বাঁধতে গিয়ে জখম ছয়

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা প্রায় বেজেই গিয়েছে। আর তার সাথে সাথেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে শুরু হয়েছে গিয়েছে অশান্তির ঝামেলা। মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাবুর গড়খালি গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অন্তত ছয়জন। এদের মধ্যে মুজাফ্ফর নাইয়া নামে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। রাতের অন্ধকারে বাকীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে ধরা পরে যায় মুজাফফর নাইয়া। রাতেই তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এখনো পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা হায়দার জমাদারকে মারার জন্যই এলাকায় বোমা বাঁধার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাতের অন্ধকারে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গড়খালি গ্রামে মাঠের মাঝখানে ইয়াজুল জমাদারের বাড়িতে বোমা বাঁধা চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে দশ এগারোজন দুষ্কৃতি বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেই সময় অতর্কিতে বোমা ফেটে যায়। ঘটনায় মুজাফফর নাইয়া নামে এক দুষ্কৃতি গুরুতর জখম হন। এই ঘটনায় আরও পাঁচ-ছ’জন জখম হয়। অভিযোগ দুষ্কৃতিরা সকলেই বর্তমানে স্থানীয় যুব তৃণমূলের ছত্র ছায়ায় রয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য হায়দার আলি জমাদারকে খুনের উদ্দেশ্যে এরা বোমা বাঁধার কাজ করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণ স্থল ক্ষতিয়ে দেখে ক্যানিং থানার পুলিশ। কি কারনে এলাকায় বোমা বাঁধার কাজ চলছিল সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও বাড়ির মালিক ইয়াজুল জমাদার জানিয়েছে তার বাড়িতে এই বোমা বাঁধা হয়নি, তবে আশপাশে মাঠের মাঝখানে কোথাও ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।