শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ৪৯ জন

News Sundarban.com :
মার্চ ১৩, ২০১৮
news-image

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রা করা উড়োজাহাজটি ওই বিমানবন্দরে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে তা রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নিউপেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থলেই ৪০জন নিহত হন। পৃথক দুই হাসপতালে ৯জন মারা যান। ২২জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে; তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গকুল ভান্দুরী রয়টার্সকে বলেছিলেন, ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে উড়োজাহাজটি ছেড়ে যায়। নেপালের স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নেপালের বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, নেপালের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের গাফিলতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রি। তার দাবি, পাইলটের ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা।

দ্য হিমালয়ান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানবন্দর এলাকায় ধোঁয়া দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে তাতে যোগ দেয় নেপাল সেনাবাহিনী।

এদিকে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ার পর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ জন, নেপালের ৩৩ জন, চীনের একজন ও মালদ্বীপের একজন যাত্রী ছিলেন বলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।