দেশকে যক্ষ্মা-মুক্ত করার ডাক মোদীর
দেশকে যক্ষ্মা-মুক্ত করার ডাক মোদীর। ২০২৫ সাল নাগাদ যক্ষ্মা-মুক্ত ভারত গড়তে মঙ্গলবার প্রচারের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।যক্ষ্মা-মুক্ত ভারত গড়তে এবং রোগকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ভিন্ন পন্থা ব্যবহার করতে হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, ২৫ বছর আগে যক্ষ্মাকে ‘জরুরি অবস্থা’ বলে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশ এই রোগ নির্মূল করতে ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। তবে, বাস্তব সত্য এটাই যে, এখনও যক্ষ্মা থেকে গিয়েছে। সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়নি। আগামী ১০-২০ বছরেও যদি কাঙ্খিত ফল না মেলে, তাহলে পন্থা পরিবর্তন করতে হবে। তিনি জানান, এই রোগকে নির্মূল করতে বিশ্বব্যাপী যে প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তা ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে। বলেন, যক্ষ্মা-নিরাময়ে কেন্দ্রীয় সরকার একটি নীতি অবলম্বন করে চলেছে। প্রথম সুযোগেই যক্ষ্মা-রোগীকে সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা দিতে হবে। এর জন্য বেসরকারি চিকিৎসা-ক্ষেত্রের সঙ্গেও সমন্বয় গড়ে তোলা হচ্ছে। মোদীর মতে, যক্ষ্মা-মুক্ত গ্রাম, পঞ্চায়েত, জেলা ও রাজ্য গড়ে তোলার জন্য বহু-ক্ষেত্রীয় সমন্বয় ও সকল সত্ত্বাধিকারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য এই রোগ-নিরাময়ে নিবেদিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। তিনি যোগ করেন, এই সংক্রামক রোগের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন গরিব মানুষরা। এই রোগের প্রভাব পড়ে মানুষের জীবন থেকে শুরু করে অর্থনীতি এবং সর্বোপরি দেশের ভবিষ্যতের ওপর। মোদী জানান, বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মাকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কিন্তু, ভারত চাইছে ২০২৫-এর মধ্যেই সেই লক্ষ্যপূরণ করতে। তিনি যোগ করেন, এর জন্য এই রোগে আক্রান্তদের সুবিধার্থে প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা) ব্যয় বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।