শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিরাপত্তার চাদোরে মোরা গঙ্গাসাগরের মেলা

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
news-image

আজ, শনিবার থেকেই বেশিরভাগ পূণ্যার্থী সাগরের পথ ধরবেন৷ গঙ্গাসাগর যাত্রাকে কেন্দ্রে করে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে গিয়েছে জোরকদমে৷নিরাপত্তা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে৷ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায়৷ বাবুঘাট চত্বর জুড়ে লাগানো হয়েছে ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা৷ কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রাখা হচ্ছে সর্বত্র৷ এবার মেলার সময় গোলমাল বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করার পর নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও তৎপর হয়েছে পুলিশ৷ ওয়াচ টাওয়ার থেকে বায়নোকুলার লাগিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি৷
গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পরিবেশ দূষণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ পূণ্যার্থীদের জন্য ইতিমধ্যেই বাবুঘাট ও গঙ্গাসাগর চত্বরে খাওয়া-দাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তৈরি হয়েছে এক হাজারেরও বেশি শৌচাগার৷ পর্যাপ্ত পানীয় জল ও স্নানের জলেরও ব্যবস্থা রয়েছে। বাবুঘাটে ইডেন উদ্যানের সামনের রাস্তা বা স্ট্যান্ড রোডে বসেছে অজস্র ছোট দোকান৷ সেখানে ৩০০ টাকায় কম্বল বা মাত্র ১০ টাকায় বড় পলিথিন বিক্রি হচ্ছে দেদার৷ সাগরে গিয়ে এই পলিথিন পেপার মাটিতে পেতে বালির উপরেই রাত্রিযাপন করবেন হাজার হাজার মানুষ৷
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ছাড়াও পাশের দেশ নেপাল থেকে এসেছেন বহু পুণ্যার্থী। বাবুঘাটে এই মেলা চত্বরে অবস্থিত সরকারি অফিস থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ৩০০ বাস সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে৷ গোষ্ঠ পালের মূর্তি সংলগ্ন ময়দানে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১২৫টি বাস৷ রাতেই সেসবের রওনা হওয়ার কথা সাগরের দিকে৷ আজ, শনিবারের মধ্যেই বেশিরভাগ পুণ্যার্থী সাগরের পথ ধরবেন৷
মেলার ভিড়ের মধ্যে সমস্যা হবে, এরকম একটি-দু’টি দল ইতিমধ্যে স্নান সেরে এখানে ফিরতে শুরু করেছেন এদিনই৷ পুণ্যতিথি পর্যন্ত অপেক্ষা তাঁরা করতে পারবেন না৷ রবিবার দুপুর থেকেই সাগরফিরতি মানুষের ভিড়ে আবার জমজমাট হয়ে যাবে বাবুঘাট৷