বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পর্নোগ্রাফির নেশায় বুঁদ ব্রিটিশ এমপিরা

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ১০, ২০১৮
news-image

আজব সমস্যায়  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। পর্নোগ্রাফির নেশায় বুঁদ ব্রিটিশ এমপিরা। তাদের এই দুষ্টু নেশার জেরে বদনাম হচ্ছে ব্রিটেনের পার্লামেন্টের। পার্লামেন্টের অধিবেশন চলার সময়, ওই চত্বরে সরকারি কাজকর্ম করার সময় চুটিয়ে অশ্লীল ছবি দেখছেন এমপি ও সরকারি কর্মচারীরা। মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ ছাড়াও সরকারি ডেস্ক টপ ব্যবহার করেও দুষ্কর্ম চলছে। ধরাও পড়ছেন তারা।

এমনিতেই এমপি ও রাজনৈতিক নেতাদের একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হতে বিব্রত মে। নতুন আপদ হয়ে দেখা দিয়েছে পর্নোগ্রাফি কেলেঙ্কারি।

কিন্তু মহামারীর আকার নেওয়া এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় কী? মনোবিদের কাউন্সেলিং? নাকি কড়া আইন? কেউ কেউ ডিজিটাল নজরদারির উপায়ও বাতলেছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখে চোখ কপালে।

ব্রিটেনের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) জানিয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা এবং লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রতিদিন গড়ে ১৬০ বার করে পর্নোগ্রাফি বা ব্লু ফিল্ম দেখার চেষ্টা হয়েছে। বিভিন্ন পর্ন সাইট অ্যাকসেস করার চেষ্টা হয়েছে দুই শতাধিকবার। আইপি অ্যাড্রেস ধরে ধরে চিহ্নিত করা হয়েছে কোন কোন অফিসার, কর্মচারী এবং এমপি কাজের ব্যস্ত সময়ে এরকম করে থাকেন।

২০১৭ সালের জুন মাসে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের পর ডিসেন্বর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ৪৭৩ বার পর্ন সাইট দেখার চেষ্টা চলেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভিতর থেকে। বিপিএ-র দেওয়া তথ্য ফাঁস হতেই চাঞ্চল্য ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে। পার্লামেন্টারি ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বিভিন্ন আইপি অ্যাড্রেসের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে অধিবেশন চলার সময়েও চুটিয়ে পর্ন দেখেছেন তাবড় লর্ড, ব্যারন, ডিউক, এমপি’রা। এমপি ও কর্মচারীদের কীর্তি দেখে কেউ কেউ আড়ালে মুখ টিপে হাসছেন। কেউ বা দোষী এমপিদের শাস্তি ও সাসপেন্ডের দাবি তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০১৬ সালে পার্লামেন্টে থেকে পর্ন দেখার চেষ্টা হয়েছিল এ ১ লক্ষ ১৩ হাজার ২০৮ বার। ২০১৫ সালে এই চেষ্টা হয়েছিল দু লক্ষ ১৩ হাজার ২০ বার।