শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনের দাবী আদায়ের মেলা 

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ:

নদী-নালা বেষ্টিত বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।জন সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লক্ষের বেশী। এহেন দ্বীপ সমূহ সুন্দরবনের বেশীর ভাগ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভটভটি কিংবা লঞ্চে করে খেয়া পারাপার হয়ে যাতায়াত করতে হয় দুর্গম সুন্দরবন দ্বীপের বাসিন্দাদের। বর্তমানে সামান্য হলেও রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সুন্দরবনের যোগাযোগ,বিদ্যুৎ,পানীয় জলসহ স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটেছে। বিশেষ করে ক্যানিং মহকুমায় সুন্দরবনের যা উন্নয়ণ ঘটেছে সেইসব কাজের বা উন্নয়নের দাবী গুলো উঠেছিল সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটি আয়োজিত “সুন্দরবন কৃষ্টি মেলা ও লোক সংস্কৃতি”মেলার মঞ্চ থেকেই। ঠিক আবার ও ২২তম মেলার শুরুতেই মেলার মঞ্চ থেকে দাবী উঠলো প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ক্যানিং থেকে ঝড়খালি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ,সুন্দরবন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার সার্বিকমান উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুন্দরবন এলাকার মায়েদের জন্য মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ার। প্রতি বছর সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে যাঁরা সুন্দরবন বাসীদের জন্য কা করে থাকেন তাঁদের কে মেলার মঞ্চ থেকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয়ে থাকে। চলতি মেলার মঞ্চ থেকে সম্মানিত হলেন আইওসি’র নির্বাহী অধিকর্তা রঞ্জন কুমার মহাপাত্র। স্মারক মানপত্র মেমেন্টো শাল ও একশোটি  রক্ত গোলাপ দিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই মেলার মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা পাওয়ার পর আবেগ তাড়িত কন্ঠে বলেন “আমি যেখানেই থাকি না কেন আজীবন সুন্দরবন বাসীদের কল্যানে কাজ করে যাবো। সুন্দরবন আমার জন্মস্থান না হলে ও এটাই আমার মাতৃস্নেহের মতো আমার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে”।
মেলা কমিটির সভাপতি তথা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য লোকমান মোল্ল্যা বলেন “সুন্দরবন কৃষ্টি মেলা ও লোক সংস্কৃতি উৎসবের যঞ্জ শুরু হয়েছিল অাজ থেকে ২১ বছর আগে । এই উৎসবের মূল লক্ষ্য অবহেলিত,নীপিড়িত,বঞ্চিত ,শোষিত মানুষের  দীর্ঘদিনের অপূর্ণ দাবী পূরণ সুন্দরবনের সংস্কৃতির বিকাশ সহ স্বনির্ভরতার লক্ষ্য কে সামনে রেখে,প্রতিবছর পিছিয়েপড়া অনুন্নত সুন্দরবন এলাকায় সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যে সমস্ত বর্ণময় ব্যাক্তিত্ব  সুন্দরবন বাসীদের সার্বিক কল্যানে কাজ করে থাকেন তাঁদের কে মেলার মঞ্চ থেকে বিশেষ সম্মানে সংবর্ধিত করা হয়ে থাকে।  অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও মেলার মঞ্চ থেকে রঞ্জন কুমার মহাপাত্রকে সম্মানে সংবর্ধিত করা হল।কারণ সুন্দরবনের  প্রায় দশ হাজার মায়েদের বিনামূল্যে প্রধানমন্ত্রীর উজ্জলা যোজনার মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ অল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া সহ নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রশ্নে অনন্য নজীর সৃষ্টি করেছেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইওসি’র জেনারেল ম্যানেজার অমলেশ দত্ত,ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের রিজিওন্যাল ম্যানেজার  ডি পি ব্যানার্জী,বঙ্গভূষণ প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা শীস এর অধিকর্তা এম এ ওহাব,তন্ময় ব্যানার্জী সহ বিশিষ্টরা।