প্রয়াত বাংলাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী

এম এ আহাদ শাহীন :
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী আর নেই। বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনসহ গোটাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বারী সিদ্দিকীকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হৃদরোগ ছাড়াও তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।
বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান,দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারী সিদ্দিকীকে অবলোকন করেন এবং তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরবর্তী ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন।
সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের উপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দেন বারী সিদ্দিকী। এর মধ্যে ‘শুয়া চান পাখি’ গানটির জন্য তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।