শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিপিএলে ১০ ভারতীয়সহ ৭৭ জুয়াড়িকে ধরেছে বিসিবি

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২১, ২০১৭
news-image
এম এ আহাদ শাহীন :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) উৎসবে পাড়ায়-মহল্লায় হরদম চলছে ক্রিকেট বাজি! এক সপ্তাহ আগে বিপিএলের বাজির আসর বসতে না দেওয়ায় ঢাকায় খুন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় দেশের ক্রিকেট জুয়া বন্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ। তাই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি।
গ্যালারিতে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় ১০ ভারতীয়সহ মোট ৭৭ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুক্রবার সিলেট সিক্সার্স এবং রাজশাহী কিংসের ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিপিএল এবং বিসিবির এই কর্মকর্তা।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, সারা দেশে ক্রিকেট জুয়া বন্ধে তাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। তবে স্টেডিয়ামে কাউকে যদি বেটিং করতে দেখা যায়, সেটি বন্ধে বিসিবি সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই নেবে। এরই মধ্যে ৭৭ জন জুয়াড়িকে ধরেছে বিসিবি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৫ জন। ১২ বিদেশি জুয়াড়ির ১০ জনই ভারতীয়। সবাইকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বাড্ডায় জুয়া নিয়ে এক তরুণের খুনের ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই নয়, মাঠের মধ্যে গ্যালারিতে বসেই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। তাদের ধরতেই মূলতঃ বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট মাঠে নেমে পড়ে।
জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে বিসিবি কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে স্বীকার করে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, সারাদেশে যে জুয়াটা হয়, তা নিয়ে আমাদের কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ কিন্তু নেই। আর দেশে জুয়া নিয়ে প্রচলিত কোনো কঠিন আইনও নেই। আর প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে, তাই এদের ধরা বেশ কঠিন। তবুও আমরা এদের খুঁজে বের করছি যতটা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি ছাড়া বিসিবির কিছু করার নেই। এটা পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপার। তবে স্টেডিয়ামের মধ্যে দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা এই দুটি ইউনিট কাজ করে আসছে।
জুয়া থেকে তরুণদের সচেতন করতে বিসিবি মাঠে বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেও বলে জানান মল্লিক। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামে বাজি ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে মুঠোফোন। যেহেতু টিভিতে ৪-৫ বা কোনো কোনোটি ৯ সেকেন্ড দেরিতে সম্প্রচার করা হয়, এই সময়টা কাজে লাগিয়ে বেটিং করছে তারা। আপনারা দেখবেন, আমরা অলরেডি স্টেডিয়ামে এলইডি ও স্কোরবোর্ডে জুয়া বিরোধী সচেতনাতামূলক বিভিন্ন লেখা দিচ্ছি।