এই যে আমি রাজনীতিতে এসেছি, সেটা প্রিয়দার সংস্পর্শে এসেই:সুব্রত মুখোপাধ্যায়
ষাটের দশকের শেষ । সত্তরের দশকের শুরু । রাজ্য রাজনীতি তখন উত্তাল । কলকাতার রাজনৈতিক মহলে কতগুলো নাম ঘোরাফেরাকরত । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসছিলেন বামেদের পক্ষে যেমন বুদ্ধ-বিমান । তেমনই কংগ্রেসী আন্দোলনের নেতা প্রিয়-সুব্রত। স্বাভাবিক ভাবেই শেষ জুটিতে যেন ছন্দপতন ঘটল । সঙ্গী প্রিয়দাকে হারিয়ে হতবাক তখনকার ছাত্রনেতা এখনকার মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ।
শোক জানাতে গিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের বংশে রাজনীতি নেই। এই যে আমি রাজনীতিতে এসেছি, সেটা প্রিয়দার সংস্পর্শে এসেই। সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘কাল থেকে খুব লড়াই করছিলেন। খবর পেয়েছিলাম। সাড়ে বারোটা নাগাদ খবর পেলাম। আমার রাজনৈতিক জীবন ও ব্যক্তিগতজীবন ওঁরই গড়ে দেওয়া’।তিনি বলেন, ‘প্রিয়দা নেই, ভাবতেই পারছি না। প্রিয়দার জন্য আমি রাজনীতিতে। দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলাম। ব্যক্তিগত বা রাজনীতির স্তরেপ্রিয়দা ছাড়া আমার কিছু ছিল না । আমার রাজনৈতিক জীবন ওঁর হাতেই তৈরি । আমার ভাল-মন্দ সবটাই তাঁর হাতে । আমরা ৫০ বছর একসঙ্গে ছিলাম । প্রিয়দাআমার বন্ধু-আমার নেতা ছিলেন । প্রশংসা করলেও সবাই বলত প্রিয়-সুব্রত ।