শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ ক্যানিং-এ বিজেপির প্রতিবাদ সভা থেকে

News Sundarban.com :
নভেম্বর ৩, ২০১৭
news-image

দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, কর্মীদের দোকান, বাড়ি লুট, দলীয় কার্যালয়ে আগুন, দলিত মহিলাদের উপর অমানসিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং রেলমাঠে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী, সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা, বিজেপির তপশীলি জাতি উপজাতির সর্ব ভারতীয় সভাপতি বীরেন্দ্র শোনকার সহ রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতা নেত্রীরা। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গী থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা সকলেই তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। ডেঙ্গু ও মুসলমান তোষণ নিয়ে একের পর এক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন সকলে। এদিন এই ইস্যুতে ক্যানিং থানা ঘেরাও অভিযান কর্মসূচী থাকলেও পুলিশ কর্তাদের অনুরোধে সেই কর্মসূচী বাতিল হয়।

গত ১৭ই অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবায় বিজেপি সমর্থক দলিত পরিবারের উপর হামলা, মারধোরের পাশাপাশি ক্যানিং এ বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মারধর করে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ১৮ তারিখ সেই পুড়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয় দেখতে আসেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা দেবশ্রী চৌধুরী। বিজেপি নেতৃত্ব চলে যাওয়ার পরেই আবারও বিজেপি কর্মীদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস। সমগ্র ঘটনাটি পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা গ্রহণ করে বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা দুটোয় ক্যানিং রেলমাঠে প্রতিবাদ সভা করে বিজেপি। সেই সভা মঞ্চ থেকেই একের পর এক বিজেপির নেতারা আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।