পিএইচডি থিসিসে হকিংয়ের বিশ্বজুড়ে অনলাইনে ব্যাপক সাড়া

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের পিএইচডি থিসিস অনলাইনে প্রকাশ করার পর মাত্র কয়েক দিনে তা দেখেছেন ২০ লাখেরও বেশি ভিউয়ার। কোনো গবেষণাপত্র নিয়ে এতো লোকের আগ্রহী হয়ে ওঠার ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

গত সোমবার ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধ্যাপক হকিংয়ের ১৯৬৬ সালের পিএইচডি থিসিস প্রকাশ করা হয়। প্রথম দিনেই এটি পড়ার জন্য এতো লোক হুমড়ি খেয়ে পড়েন যে ওয়েবসাইটটি ক্র্যাশ করে।

কেম্ব্রিজের অধ্যাপক ড. আর্থার স্মিথ বলেন, এটি একটি বিরাট ঘটনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় যতো গবেষণাপত্র আছে তার কোনোটিই এতো লোক দেখেনি। হয়তো পৃথিবীতেই এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এটি দেখেছেন। অন্তত ৫ লাখ লোক এটি ডাউনলোডের চেষ্টা করেছেন।

‘সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের বৈশিষ্ট্য’ নামের ১৩৪ পাতার ওই থিসিস লেখার সময় স্টিফেন হকিং ছিলেন কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি হলের পোস্ট গ্রাজুয়েটের ছাত্র। তখন তার বয়েস ছিল ২৪ বছর। হকিংয়ের লেখা বই ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ ১৯৮৮ সালের প্রকাশের পর তা এক কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে।

হকিং ১৯৬৩ সালে মোটরনিউরন ডিজিজ নামে রোগে আক্রান্ত হন। তখন ডাক্তাররা বলেছিলেন, তিনি আর মাত্র দুই বছর বাঁচবেন। ওই রোগের ফলে তিনি এখন হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন ও কম্পিউটারের সাহায্যে কথা বলেন।

হকিংয়ের বয়স এখন ৮৪। তার জীবন নিয়ে ২০১৪ সালে ‘দি থিওরি অব এভরিথিং’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।