শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পোস্ত চাষের রমরমা বন্ধে ড্রোন ক্যামেরা ঘুরবে অজয়-দামোদরের চরে

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২৮, ২০১৭
news-image

বিঘার পর বিঘা জমিতে সবুজ গাছে ফুটে রয়েছে সাদা বা হালকা গোলাপি ফুল। জামুড়িয়ার অজয়ের চড় বা অন্ডাল-রানিগঞ্জ এলাকায় বছরের নানা সময়ে চোখে পড়ে এই ছবি। খনি অঞ্চলে পোস্ত চাষের এই রমরমা বন্ধে অভিযান হয় মাঝে-মধ্যে। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে এই বেআইনি কারবার বন্ধ হয় না। যার জেরে নেশার প্রকোপ, মাফিয়া দৌরাত্ম্যও বাড়ছে বলে অভিযোগ । নভেম্বর ডিসেম্বরে এই বেআইনি পোস্ত চারা রোপনের আগেই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল আসানসোলে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক শশাঙ্ক শেট্টি, এডিএম(জেনারেল) প্রলয় রায়চৌধুরি, কলকাতা জোনাল শাখার ইন্টালিজেন্স বিভাগের অধিকর্তা এম কে মণ্ডল, আবগারি বিভাগের অফিসার তুহিন নাগ থেকে শুরু করে বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিদের নিয়ে ওই বৈঠকটি হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বেআইনি পোস্ত চাষ রুখতে নজরদারি চালাবে প্রশাসন। সব প্রশাসনিক বিভাগকে নিয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে।
পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে এই বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকার জন্যও সচেতনতা চালানো হবে। প্রয়োজন পড়লে জেলার স্যাটেলাইট ও ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে বেআইনি পোস্ত চাষে নজরদারি চালানো হবে বলে ওই বৈঠকে জানান জেলা শাসক। আবগারি দফতর সূত্রে খবর প্রতিবছর জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর-সহ কিছু এলাকায় অজয়ের চরে পোস্ত চাষ করে কিছু দুষ্কৃতী। ক্ষেত দেখে মনে হয় ফুলের বাগান। এলাকার মাটি ও আবহাওয়া পোস্ত চাষের উপযোগী। ফলন তাই ভাল হয়। সে জন্য এই অঞ্চলকে বেছে নেয় মাফিয়ারা। জামুড়িয়ার লালবাজার, বীরকুলটি, দরবারডাঙা,কুমারডিহি, পাণ্ডবেশ্বরের রামনগর গ্রাম লাগোয়া অজয়ের চর, সহ বেশ কিছু অঞ্চলে নিয়মিত পোস্ত চাষ হয়। কেন্দ্রের ১৯৮৫ সালের ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ আইনে পোস্ত চাষকে অবৈধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পোস্তর খোল থেকে আফিম পাওয়া যায়। যা নেশার দ্রব্য হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই এই চাষ বন্ধের আইন রয়েছে।