নিবেদিতার উইম্বলডনের বাড়িতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

১২ নভেম্বর লন্ডনে ভগিনী নিবেদিতার উইম্বলডনের বাড়িতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান মিউজিয়মের অনুরোধে ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ উত্তোলন করবেন। ১৮৬৭-র ২৮ অক্টোবর মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল জন্মগ্রহন করেন। পরবর্তীকালে তিনি পরিচিত হন ভগিনী নিবেদিতা নামে।২৮শে তাঁর সার্ধ শতবর্ষ পূর্ণ হবে।
স্বামীজির কাছে উইম্বলডন আর নিবেদিতা সমার্থক ছিল। পত্রাবলিতে উইম্বলডনের নিবেদিতা বলে কয়েকবার উল্লেখ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। নিবেদিতার স্কুলটি ছিল ওয়ারপল রোডে। রাসকিন স্কুল তখন হইহই করে চলছে। নিবেদিতা তবুও বিভ্রান্ত, কীভাবে প্রতিটি শিশু তাদের নিজস্বতা বজায় রেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। লিজেল রেমোঁ বলছেন, বিবেকানন্দ গিয়েছিলেন স্কুল দেখতে এবং সেই দেখেই তাঁর মনে হয়, আহা ভারতবর্ষের ছাত্রছাত্রীরা যদি এর কণামাত্রও পেত। কিন্তু পেটে খিদে নিয়ে তো পড়াশোনা হয় না! বিনে পয়সায় বিদ্যা দিলেও তারা নিতে পারবে না। মাঠেঘাটে রাখাল বালক-বালিকাদের কাজ করতেই হবে। চোখ ভিজে ওঠে স্বামীজির। বলেন ঠিক আছে, ওরা যদি স্কুলে না আসে, স্কুলই যাবে সেইসব ভারতবর্ষের অসহায় শিশুদের কাছে।
নিবেদিতার দু’চোখ তখন চকচক করে ওঠে। ভারতবর্ষ! না জানি সে কত দূরে! স্বামীজির আদেশমতো শেখাতে হবে সব কিছু। সারাদিন রোদে-জলে তেতেপুড়ে আসার পর সন্ধেবেলায় লন্ঠনের আলোয় তঁাকে ঘিরে বসবে ভাবী ভারতের নাগরিকেরা। পৃথিবীর ম্যাপ নিয়ে চেনাতে হবে দুনিয়াটা, আকাশের তারা ফুটে উঠবে একটা দুটো করে, তাদের শেখাতে হবে জ্যোতির্বিদ্যা, ইতিহাস, মানবতাবাদের অধিকারের কথা। তার পর নিবেদিতার ভারতে আসার কাহিনী তো রূপকথার সামিল।