কালীপ্রতিমাকে মেয়ে ভেবে পুজো করেন কৃষ্ণনগরের সত্যনারায়ণ সাহা

মা নয়, কালীপ্রতিমাকে মেয়ে ভেবে পুজো করেন কৃষ্ণনগরের সত্যনারায়ণ সাহা। এখানে কালীপ্রতিমার হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ, কাঁচের চুরি। পাশেই থাকে এক জোড়া জুতো, শোওয়ার খাট, এমনকি সাজগোজের জিনিসও। আর এ সবই তাঁকে করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নে পাওয়া ‘মেয়ের আবদার’ মেনেই।
কালীপ্রতিমাকে সারা বছরই পুরোহিত এসে পুজো করেন আর কার্তিক মাসের কালীপুজোর দিন কৃষ্ণনগরের সত্যনারায়ণ সাহা নিজেই পুজো করেন। এক সময়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। সেখান থেকে অবসর নিয়েছেন এক দশকেরও বেশি আগে। তারপর থেকে পুজো নিয়েই থাকেন। সত্যনারায়ণবাবুর স্ত্রী জয়শ্রী সাহাও পুজোর বিষয়ে নানাভাবে সাহায্য করেন। কাছেই থাকেন তাঁদের পুত্র সুমন সাহা, পুজোর বিষয়ে নানাভাবে সহায়তা করেন সবাই।
এখানে কালী কেন মেয়ে রূপে পূজিত হন? সত্যনারায়ণবাবু জানান, “আমার স্ত্রী বছর তিরিশ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনই কালী স্বপ্নে দেখা দেন আর বলেন যে, তিনি মেয়ে রূপে এই বাড়িতে এসেছেন। এরপর আমার স্ত্রী সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাড়িতে তখনই কালীমূর্তি নিয়ে এসে পুজোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপর থেকে তিনি স্বপ্নে মেয়ের মতো আবদার করে অনেক কিছুই চেয়েছেন। আমি তার চাহিদা মিটিয়েছি।“