শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইন্দ্রের ইন্দ্রজালে সম্মোহিত শ্রোতারা

News Sundarban.com :
অক্টোবর ১৫, ২০১৭
news-image

অপূর্ব দাস

এক সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় সম্প্রতি দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার মোহিত মৈত্র মঞ্চে এক গুচ্ছ নতুন গানের ডালিতে শ্রোতাদের আচ্ছন্ন করে ফেললেন ইন্দ্র, মানে ইন্দ্রনীল দাস। পেশায় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, ইন্দ্র একজন শিল্পোদ্যোগী। এক সময় কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদে কাজ করেছেন। তারপর চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা। তবে এরমধ্যেও সারস্বত সাধনা থেমে থাকেনি। গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক হিসাবে মেলে ধরেছেন ইন্দ্র। তারই প্রতিফলন ঘটলো মোহিত মৈত্র মঞ্চে। অনুষ্ঠানটি অবশ্য ছিল দু পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে গুণীজন সংবর্ধনা। বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ সেন বরাট এবং বিশিষ্ট অ্যাকর্ডিয়ানিস্ট প্রতাপ রায় (বেবিদা)-কে সংবর্ধনা জানানো হয়। ইন্দ্র দুজনের হাতে স্মারক তুলে দেন। এ যেন গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো। ইন্দ্র কল্যাণ সেনবরাটেরই ভারশিষ্যত্।
দ্বিতীয় পর্ব অবশ্য পুরোটাই ইন্দ্রময়। গানে গানে সংবর্ধিত দুই নক্ষত্রকে তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

এই শ্রদ্ধাঞ্জলির শিরোনাম ছিল থাক না চোখে কিছু আশা। কয়েকটি গানের কথা না জানালে এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কবিতা যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবগানটি নিজের সুরে গেয়ে শ্রোতাদের মুদ্ধ করেন ইন্দ্র। গায়কের প্রিয় ঋতু বর্ষার একটি গান এল বৃষ্টি এল মনকে সজীব করে। রোম্যান্টিকতার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আবার শিশু শ্রমিকদের নিয়ে এসে সব বাঁধন খুলে শ্রোতাদের আবেগতাড়িত করে ফেলে। কারোর কারোর চোখের কোণায় যেন হিরের কুঁচি দেখা যায়। বেলা যে পড়ে এল- গানটি মনকে ভারী করে তোলে। জীবন এবং পার্থিব বিষয়গুলি সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে অনুপ্রাণিত করে। এই অনুষ্ঠানের দুটি পর্বের সঞ্চালনার দায়িত্ব যথাযথ এবং সুচারুভাবে পালন করেন সোমা মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী এবং নবেন্দু সাহা। আলোক এবং মঞ্চ সজ্জা ছিল অসামান্য।
সবশেষে আরেকবার বলতে হয় ইন্দ্রের কণ্ঠের ইন্দ্রজালে শ্রোতারা সম্মোহিত হয়ে রইলেন। চরৈবেতি ইন্দ্রনীল।