মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নায়িকাদের মতো সুন্দর ফিগারের অধিকারী হতে চান !

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
news-image

‘নায়িকাদের মতো ফিগার’ বলে একটা কথা খুব প্রচলিত আছে। সাধারণ মানুষের ধারণায় নায়িকা মানেই ছিপছিপে গড়ন। নায়িকার শরীরে কোথাও কোনো মেদ উঁকিঝুঁকি দিতে পারবে না। নায়িকাদের মতো সুন্দর ফিগারের অধিকারী সবাই হতে চান। নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করে, কী খেয়ে শরীর এমন ফিট রাখেন তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তরে নায়িকারা অকপটে জানিয়েছেন তাঁদের প্রতিদিনের খাবারের রুটিন।

আলিয়া ভাট

কিশোরী বয়সে ৬৭ কেজি ওজন ছিল আলিয়া ভাটের। প্রথম ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর শুটিং শুরুর আগে মাত্র তিন মাসে ১৬ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন এই শিল্পী। আলিয়ার ছিপছিপে শরীর দেখে মনে করবেন না, তিনি কোনো বেলার খাবার বাদ দেন। তিন বেলা খাওয়া চাই তাঁর। সকাল শুরু হয় ধোঁয়া ওঠা ভেষজ চা বা কফির মগে চুমুক দিয়ে। এই নায়িকা অবশ্য দুই ঘণ্টা পরপর কিছু না কিছু খাওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী নন। খিদে পেলেই খান। তবে তাঁর খাবারের তালিকায় ওটমিল, আঙুর, পেঁপে ও টাটকা সালাদ থাকা চাই। সকালের নাশতায় এই তারকা চিড়া অথবা ডিম স্যান্ডউইচ খান। দুপুরে রুটি সবজিই তাঁর প্রিয়। বিকেলে খিদে পেলে সামবার দিয়ে একটি ইডলি অথবা কোনো ফল খেয়ে নেন। রাতে তেল ছাড়া একটি রুটি অথবা অল্প ভাত খান। সঙ্গে থাকে ডাল, সবজি আর গ্রিল করা এক টুকরা মুরগি। খাবারে চিনি একদম এড়িয়ে চলেন এই তারকা।

দীপিকা পাড়ুকোন

ডিম খেলে মোটা হয়ে যাবেন—এই ভয়ে যাঁরা ডিম থেকে এক শ হাত দূরে থাকেন, তাঁরা জেনে নিন দীপিকার খাবারের তালিকায় রোজ থাকে দুটি ডিম। সকালে তিনি কম চর্বিযুক্ত দুধ আর দক্ষিণ ভারতীয় হালকা কোনো খাবার খান। দুপুরে বেশ ভালো পরিমাণে সালাদ খান। সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীরকে চনমনে করতে চিনি ছাড়া এক কাপ কফি তাঁর পান করা চাই। আর রাতে কখনোই ভারী খাবার খাওয়ার পক্ষপাতী নন এই নায়িকা। প্রতি দুই ঘণ্টা পর অল্প পরিমাণে খেতে হয় তাঁকে। সারা দিন সালাদ, চাপটি, সবজি, ফল, টাটকা জুস ও নানা রকম বাদাম খেয়ে পেট ভরান এই তারকা।

শিল্পা শেঠি

শিল্পা শেঠির বয়স ৪২। এই নায়িকা এক সন্তানের মা, কিন্তু ফিগার দেখে তা কে বলবে? শুরু থেকেই শরীর ভীষণ ফিট এই তারকার। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে এই তারকা একজন ভোজনরসিক। অনেক কিছুই খান, তবে পরিমাণমতো। সকালের নাশতা এই তারকা দুবার খান। প্রথমবার সকাল ৭টায়। কলা, ব্লুবেরি, আপেল, মুসলি ও স্মুদি দিয়ে প্রথম নাশতা সারেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় নাশতায় থাকে দুটি ডিম, কাঁচা অ্যাভোকাডো আর মাখন দিয়ে একটি পাউরুটি। চা বা অন্যান্য খাবারে মিষ্টির জন্য নারকেলের চিনি ব্যবহার করেন শিল্পা। সারা দিনের খাবারের মধ্যে এই নায়িকা দুপুরেই একটু ভারী খাবার খান। মাছ বা মাংস যেকোনো এক পদ থাকে দুপুরের পাতে। সঙ্গে প্রচুর সবজি, এক মুঠো লাল চালের ভাত, আর সালাদ। এই তারকার সালাদ খুব সাদাসিধে ধরনের। শসা আর গাজরে সামুদ্রিক লবণ ছিটিয়েই খেয়ে নেন তিনি। একই ধরনের খাবার বেশি দিন খেতে নাকি ভালো লাগে না তাঁর। তাই মাঝেমধ্যে একটি পরোটা, ডাল ও মুরগি খান মধ্যাহ্নভোজে। বিকেলে শসা আর বিট দিয়ে তৈরি একটি স্যান্ডউইচ বা আলু সেদ্ধ তাঁর প্রিয়। রাতে আটটার মধ্যেই খাওয়ার পর্ব শেষ করে ফেলেন স্যুপ, সবজি, মুরগি গ্রিল অথবা ডাল আর মাশরুমের তরকারি দিয়ে।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
শ্রীলঙ্কার সুন্দরী এই বলিউড তারকা শরীর ফিট রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেন। সকালে তাঁর নাশতার টেবিলে থাকে প্যানকেক, পিনাট বাটার, স্মুদি অথবা গ্র্যানোলা। সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় বলে দিনেই পেটপুরে খেয়ে নেন। তবে শর্করা কম খান। দুপুরে ও রাতের খাবারে প্রচুর শাকসবজি খেতে ভালোবাসেন। প্রোটিনের জন্য এর সঙ্গে ডিমও খান। স্যুপও থাকে কোনো কোনো দিন। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে রোজ প্রচুর পরিমাণে টাটকা ফল খান জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তথ্যসূত্র: পিংক ভিলা, কসমোপলিটন ও স্মার্ট কুকি