৪০ তম বর্ষে পড়ল বৈতালিক সংঘ এবং পঞ্চমী সম্মিলনির পুজো

আজ পঞ্চমী, তারপরেই শারদীয়া উত্সবের মেজাজে মেতে উঠবেন প্রত্যেকেই। দর্শনার্থীদের কাছে নিজেদের সেরা তুলে ধরতে এখন চরম ব্যস্ততা প্রতিটি পুজো মণ্ডপে। মণ্ডপশিল্পীরা এখন তাঁদের কাজ শেষ করার তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন। আমি এমন এক পুজো মণ্ডপের কথা বলব যা একদম আলাদা। অন্যমাত্রার পুজো।
বালিগঞ্জের বৈতালিক সংঘ এবং পঞ্চমী সম্মিলনির পুজো, ৪০ তম বর্ষে তাঁদের ভাবনা পুরনো থিমের সৌন্দর্য। কে কেমন কার থেকে বেশি মানুষের কাছে পেঁছবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু। যখন শহর থেকে গ্রামগঞ্জের পুজোগুলো নতুন নতুন থিমের চিন্তা ভাবনায় মেতেছে, তখন বৈতালিক সংঘ এবং পঞ্চমী সম্মিলনি হারিয়ে যাওয়া পুরনো থিমগুলোকে জনমানুষের সামনে তুলতে বদ্ধপরিকর। তাঁদের এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করছেন দুর্গা ডেকোরেটর্সের শিল্পী প্রশান্ত দাস। ১ মাসের ওপর চলছে এই থিমের কাজ। ১৬ ফুটের মাটির প্রতিমাকে শেষ তুলির টান দিয়ে রাঙিয়ে তুলছেন প্রতিমাশিল্পী শঙ্কর মণ্ডল। পুজো কমিটির হিসাবরক্ষক রণজিত্ হালদার বলেন, আমরা নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করাটাই আমাদের কাছে মূল লক্ষ্য। আমাদের কাছে নতুনত্ব থিমটাই বড় নয়। পুজোর সভাপতি প্রশান্ত দাস বলেন, আমাদের এবছরের পুজোর বাজেট থাকছে ৪ লক্ষ টাকা। পুজো সেক্রেটারি গোপাল সর্দার, দেবকুমার দাস, প্রভাদ নস্কর বলেন, আমরা আশা রাখি গতবারের তুলনায় এবছর দর্শকের সংখ্যা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে রণজিত্ দাস, বসু ভট্টাচারিয়া, সঞ্চয় দাস বলেন, আমাদের এইবছরের নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। উদ্বোধনে থাকছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বৈশানর চট্টোপাধ্যায়।