বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধদের রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধে বৈঠক চায় সাত রাষ্ট্র

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
news-image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধদের রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে বিশেষ বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছে সাত সদস্য রাষ্ট্র।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে এ অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, মিসর, কাজাখস্তান, সেনেগাল ও সুইডেন।

নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি রাষ্ট্র ইথিওপিয়া জানিয়েছে, বৈঠক করার সম্ভাব্য সময় নিয়ে পরামর্শ চলছে।

এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বুধবার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, সহিংসতা ঠেকাতে নিরাপত্তা পরিষদ যেন দৃঢ় এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তা তিনিও চান।

আগস্টে রোহিঙ্গা সংকট ব্যাপক আকারে শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ পর্যন্ত দু’বার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে চলমান সহিংসতা বন্ধ করতে গত সপ্তাহে মিয়ানমার সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে নিরাপত্তা পরিষদ।

সেনাবাহিনীর হামলা ও সহিংসতার মাত্রার ভয়াবহতার কারণে জাতিসংঘ একে ‘পাঠ্যবইয়ে যোগ করার মতো জাতিগত নিধনের উদাহরণ’ বলেও অভিহিত করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা মনে করছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নিরাপত্তা পরিষদ একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার কথা ভাবতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিরাপত্তা পরিষদ বড় ধরনের কোনো ব্যবস্থা নিতে চাইলে এবং তার জন্য কোনো নীতি প্রণয়ন করতে হলে মিয়ানমারের বন্ধুরাষ্ট্র এবং ভেটো দেওয়ার ক্ষমতাধারী চীন ও রাশিয়া সেখানে সমর্থন নাও দিতে পারে। কারণ চলতি মাসের প্রথম দিকে মিয়ানমার জানিয়েছিল, দেশটি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে তাদের ভেটো প্রয়োগের ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে, যেন মিয়ানমার নিরাপত্তা পরিষদের সব ধরনের পদক্ষেপ থেকে নিরাপদ থাকে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো নীতি প্রণয়নের জন্য ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টির ভোট লাগবে এবং রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের ভেটো থাকা যাবে না।