পূজায় সাজ আর পোশাকই ফুটিয়ে তুলবে আপনার রুচি

পূজার দিনগুলোতে দিনের বেলার সাজ যতটা সম্ভব হালকা রাখা ভালো। পোশাকের ক্ষেত্রেও বেছে নিতে পারেন হালকা কিংবা গাঢ় রংও। আজকাল তো অনুষ্ঠান ছাড়া অনেকে শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাদের জন্য পূজা একটা উপলক্ষ হতে পারে শাড়ি পরার। দিনে পরতে পারেন হালকা ছাপার সুতি শাড়ি বা এক রংয়ের পাড় দেওয়া শাড়ি। আর রাতে পরতে পারেন কিছুটা জমকালো শাড়ি। অন্যান্য পোশাকও পরতে পারেন দিন আর রাতের বিষয়টা মাথায় রেখে।
পূজায় সাজে চোখের ভ্রুকে গুরুত্ব দিতে হবে। কালো পেন্সিল না ব্যবহার করে ভ্রুর জন্য ব্রাউনের কোনো শেড ব্যবহার করুন। অল্প একটু হাইলাইটার বা নিউট্রাল গোল্ড আই শ্যাডো চোখের ইনার কর্নার্সে লাগিয়ে নিন। এর ফলে আপনার চোখ বড় দেখাবে। তবে চকচকে কিছু না লাগানোই ভালো। চোখ বড় দেখাতে চাইলে চোখের ওয়াটার লাইনে কালো কাজল লাগাবেন না। তার বদলে হালকা রঙের কাজল ব্যবহার করুন। চোখের নিচের পাতায় যে কোনো রং লাগাতে পারেন। যদি সারাদিন মেকআপ ঠিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই একটা ভালো প্রাইমার ব্যবহার করুন। মুখের যে অংশে সব থেকে বেশি তেলতেলে হয় সেই জায়গায় অন্য অংশের থেকে বেশি প্রাইমার লাগান।
ফাউন্ডেশন হোক বা কনসিলার, আই শ্যাডো যাই ব্যবহার করুন না কেন স্কিনের সঙ্গে ভালো করে ম্যাচ করে নিন। দিনের বেলা হোক বা রাতের মেক আপ দু’ক্ষেত্রেই ম্যাট বেসড প্রডাক্ট ব্যবহার করুন। উৎসবের এই সময়ে এমন হতেই পারে যে, সকালে প্রতিমা দেখতে বেরিয়েছেন তারপর আর বাড়ি ফেরার সময় পেলেন না। একেবারে রাতে ফিরলেন। সেই ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে বেরুনোর আগে একই রঙের কালার প্যালেট ব্যবহার করুন। সন্ধ্যার জন্য কাজল দিয়ে চোখে এঁকে নিন। আর গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।
ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় তাতে অল্প একটু ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে নিন। এর ফলে আপনার ত্বক শুকিয়ে যাবে না আর মেকআপ ফুটে উঠবে না। মুখের রঙের সঙ্গে গলার রঙের যেন অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকে। তাই গলাতেও অল্প ফাউন্ডেশন ভালো করে লাগিয়ে নিন। চোখের মেকআপ না করলে খালি চোখের পাতায় মাসকারা লাগিয়ে নিন। চোখের জন্য কালো আইলাইনার বা কাজল না ব্যবহার করে ব্রাউন বা বাদামি শেড ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে দিনের বেলার জন্য ব্রাউন রং খুবই চমৎকার। তবে যেভাবেই সাজুন না কেন, খেয়াল রাখুন তা যেন পরিমিত হয়। কারণ আপনার সাজ আর পোশাকই ফুটিয়ে তুলবে আপনার ব্যক্তিত্ব আর রুচি।