বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গাদের সভায় আমন্ত্রণ জানানোর অপরাধে বরখাস্ত বিজেপি নেত্রী

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
news-image

মিয়ারমারে নির্যাতন অত্যাচারে প্রাণে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রার্থনা সভায় সকলকে আমন্ত্রণ জানানোর ‘অপরাধে’ বরখাস্ত হলেন ভারতের আসামের তথা উত্তর-পূর্বে বিজেপির তিন তালাকবিরোধী লড়াইয়ের নেত্রী বেনজির আরফান।

রোববার ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইউনাইটেড মাইনরিটি পিপলস ফোরাম’ মিয়ানমারে খুন হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শনিবার ফ্যান্সি বাজারে প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। বিজেপির মজদুর মোর্চার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেনজির দলের ফেসবুক পেজে ওই সভায় সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট লেখেন। তার জেরেই আসাম প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া তাকে বরখাস্ত করে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন।

নোটিসে বলা হয়, দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, দলের নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা না করে, মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে অন্য সংগঠনের হয়ে কর্মসূচির কথা এভাবে পোস্ট করে নিময় ভেঙেছেন বেনজির।

এ নিয়ে বেনজিরের বক্তব্য, দলীয় সভাপতি রঞ্জিৎ দাসের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি ভুল করে ওই বার্তায় ‘প্রতিবাদী অনশন’ লিখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচিতে যোগও দেননি। অথচ দলের সংখ্যালঘু ফোরামের মুখ্য আহ্বায়ক রোশেনারা বেগম ওই সভায় অংশ নিলেও তাকে বরখাস্ত করা হয়নি।

বেনজির বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে বিজেপিতে আছি। দলের খারাপ সময়ও সঙ্গ ছাড়িনি। বিজেপির ভিত্তি না থাকলেও জনিয়াতে বিজেপির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে ভাল ফল করেছি। তার পরও যেভাবে সামান্য ভুলে আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল- তা অন্যায়। তিন তালাকের শিকার এক মহিলার বিরুদ্ধে সভাপতির এই আক্রোশমূলক কাজের জবাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইব।’

তার প্রশ্ন, রঞ্জিৎ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এত অভিযোগ থাকলেও কেন তাকে সরানো হচ্ছে না?

রাজ্য বিজেপি ও রঞ্জিৎবাবু খোদ অবশ্য বেনজিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বেনজির জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। দল তাকে বহিষ্কার করলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।