বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলকাতায় টালা-বিটি রোডের ঘটনা নিয়ে মারা গেলেন ন’জন

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
news-image

পাথুরিয়াঘাট, নারকেলডাঙ্গা, ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিট, পোস্তা, টালা- শহরে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে মৃত্যুমিছিল চলছেই। সর্বশেষটি অর্থাৎ উত্তর কলকাতায় টালা-বিটি রোডের ঘটনা নিয়ে মারা গেলেন ন’জন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর জুড়ে এই মুহূর্তে বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা হাজার তিনেক। একের পর এক দুর্ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের। অথচ, এ ব্যাপারে যাদের ভূমিকা সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাদের বিশেষ হেলদোল নেই। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, টালার আশপাশে আরও কয়েকটি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। স্থানীয় বরো চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে ওই সব বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের বার করে দিতে হবে।
পুর অফিসারদের কথায়, নোটিস টাঙানোর পরে মানবিক কারণেই কাউকে জোর করে ওই সব বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হত না এতকাল। গত সেপ্টেম্বরে পাথুরিয়াঘাটায় বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দু’জনের মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হুঁশ ফেরে পুরসভার। এর পরেই নতুন আইন করে রাজ্য সরকার।
কী করতে পেরেছে পুরসভা এখনও পর্যন্ত? বিল্ডিং দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, আইন প্রয়োগের জন্য একটা স্কিম করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাড়ির মালিক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন করে গড়লে ১০০ শতাংশ ছাড় পাবেন। তবে, তার আগে ওই বাড়ি ‘কনডেম্ড’ (বসবাসের অযোগ্য) বলে ঘোষণা করতে হবে। পুরসভা বিজ্ঞাপন দিয়ে এ সব জানালেও তেমন সাড়া মেলেনি। অন্য যুক্তিও দেখাচ্ছেন বাড়ির মালিকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, বাড়ি বিপজ্জনক। সেখানে থাকাটা যে ঝুঁকির, সে কথা পুরসভাই বলছে। অথচ, ওই বাড়িতে ব্যবসায়ী থেকে ভাড়াটে, সবাই বছরের পর বছর থাকার অনুমতি পেয়ে যাচ্ছেন। রেন্ট কন্ট্রোলে টাকাও জমা পড়ছে। এ সব বন্ধ না হলে বিপজ্জনক বাড়ি কেউ ছাড়তে চাইবেন না।
এক পক্ষকালের মধ্যে খোদ কলকাতায় চারটি বাড়ি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটল। বিপজ্জনক ঘোষণার পরও কীভাবে বিভিন্ন পরিবার বাড়িতে ভাড়া থাকেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। নারকেলডাঙ্গা থেকে টালা, বড়তলা থানার ১৫৭ বিধান সরণি থেকে শুরু করে ১৬ নম্বর শিবতলা স্ট্রিট- দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল পুরসভা।
টালার বাড়ির মালিকপক্ষ কুমার পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ি সারানোর জন্য তাঁরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভাড়াটেরা ঘর খালি না করায় তা সম্ভব হয়নি।