সবকিছুর জন্য বিরাটকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন যুজবেন্দ্র

একটুও সময় নষ্ট করতে চান না ২৭ বছরের যুজবেন্দ্র চাহাল। তাই শ্রীলঙ্কা সফর থেকে দিল্লির বাড়ি না ফিরে সরাসরি চলে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কারণ তারপরই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। তাই নিজেকে আরও ভালমতো তৈরি করতেই বাড়ি না ফিরে চলে গিয়েছিলেন অ্যাকাডেমিতে। আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে সেই কথাই জানালেন যুববেন্দ্র। বললেন, নিজের ট্রেনিং করে যাওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পুরো কৃতিত্বটাই তিনি দিচ্ছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
গত জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে প্রথম টি-২০র আগে সব ফরম্যাটের ক্রিকেটের দায়িত্ব তুলে নেন বিরাট কোহলি। তারপর থেকেই তিনি চাহালের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেন। আইপিএল-এর বেঙ্গালুরু দলেও তিনবছর ধরে বিরাটের নেতৃত্বে ক্রমশ উন্নতি করেছেন চাহাল। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চাহালসহ বেঙ্গালুরু দলের চারজন থাকায় কম জলঘোলাও হয়নি। চাহাল বলেন, আগে শুধু মানুষ জানত চাহাল নামে কেউ একজন আছে। কিন্তু বিরাট আমার পরিচিতিটা নিশ্চিত করেছে। এখন আমাকে সবাই চেনে। সবাই আমাকে নিয়ে কথা বলছে। এটা আরসিবি-তে যাওয়ার পরেই হয়েছে। বিরাট আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।
লিমিটেড ওভারের ক্রিকেটে স্পিনারদের জায়গা খুব নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় দলে। কারণ এই দলে রয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা। বিশ্ব ক্রিকেট র্যাঙ্কিংয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন। যদিও সেটা টেস্ট ক্রিকেটে। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে নতুনদেরও দেখে নিতে চাইছেন বিরাট কোহলি। অশ্বিন, জাদেজা বিশ্রামে থাকায় তাই সেই জায়গা দেওয়া হয়েছে চাহাল ও কুলদীপ যাদবকে। তাঁকে দলে রাখা নিয়ে যখন জলঘোলা হচ্ছে তখন চাহাল অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩ রান দিয়ে ৬ উইকেটের স্পেলের পরও পর পর দুটো সিরিজে দলে জায়গা হয়নি তাঁর। চাহাল বলেন, আমি জানি আমি নির্বাচক ও অধিনায়কের সুনজরে আছি। ওরা ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে আমাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বলে দিয়েছিল আমাকে নিয়ে ওদের কী পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আমাকে সুযোগের অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু সবথেকে ভালো দিক হল অধিনায়ক সবসময় আমাকে সমর্থন করে। আমার কঠিন সময়েও আমার পাশে থাকে।