শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেসির জোড়া গোল

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
news-image

করলেন জোড়া গোল, সতীর্থের গোলে রাখলেন বড় ভূমিকা। লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে ইউভেন্তুসকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ সূচনা পেয়েছে বার্সেলোনা।
মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্প নু্যয়ে ডি গ্রুপের ম্যাচে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। অন্য গোলটি ইভান রাকিতিচের।

গত মরশুমে কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে এই ইউভেন্তুসের কাছেই ৩-০ গোলে হেরে ছিটকে পড়েছিল বার্সেলোনা। ২০তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটা পায় বার্সেলোনা। মেসির নিচু ফ্রি-কিক রক্ষণ দেওয়ালে প্রতিহত হলে ফিরতি বলে সুয়ারেজের শট শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল; কর্নারের বিনিময়ে গোল ঠেকান গোলরক্ষক জানলুইজি বুফ্ফন। বিরতির ঠিক আগে মেসির ঝলক। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় রক্ষণে মনযোগী ইউভেন্তুস পাল্টা আক্রমণে দুটি সুযোগ তৈরি করেছিল। দ্বাদশ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে মিরালেম পিয়ানিচের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিছুক্ষণ পর গনসালো হিগুয়ানের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বার্সেলোনার গোলক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে মেসির বাঁ-পায়ের বিদু্যত্ গতির দূরপাল্লার শট বুফ্ফনকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লাগে। ৫৪তম মিনিটে ফাউলের শিকার হয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার পিয়ানিচকে হলুদ কার্ড দেখানোর আবেদন করে উল্টো নিজেই দেখেন মেসি। এর দুই মিনিট পরেই রাকিতিচের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।

ডান দিক দিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ডি-বক্সে ঢুকে মেসির নেওয়া শটে বুফ্ফন পরাস্ত হলেও, গোলমুখে ঠেকিয়ে দেন স্তেফানো স্তুরারো। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল হয়নি ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিতিচের।

৬৯তম মিনিটে জাদুকরি ফুটবলে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মেসি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাস পেয়ে একজনকে কাটিয়ে বাঁ-দিক থেকে আড়াআড়ি ছুটে আরেকজনের বাঁধা এড়িয়ে, কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।

গত শনিবার লিগে এসপানিওলের জালে হ্যাটট্রিক করা মেসির এখন পর‌্যন্ত এ মরশুমে গোল হল সাতটি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডের মোট গোল ৯৬টি।
৮১তম মিনিটে পাওলো দিবালার দূরপাল্লার নিচু শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন টের স্টেগেন।