শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাসছে ইলিশ হাসছে নামখানা

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৭
news-image

সম্প্রতি ইলিশের দাম একদম পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় হল যেটা, কখনও ভাবে নি মত্স্যজীবীরা, অত্যাধিক মাছ ধরার পর বরফের জোগান এতটা কম হবে। এমন কি বরফের অভাবে নৌকা থেকে ইলিশ নদীতে ফেলে দিতে হয়। গত মাসের আগস্ট-এর শুরুর দিকে ছোট আকারের ইলিশ মাছের কেজি ছিল ৮০০ টাকা। এসব ইলিশের এক-একটির ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। এখন একই টাকায় মিলছে দেড় কেজি ইলিশ মাছ! তবে মাছের আকার ও ওজন বাড়লে ইলিশের দামও বাড়ে। বড় আকারের ইলিশের দামে খুব বেশি পার্থক্য হয়নি। গত মাসের তুলনায় দাম কমেছে ১০০-২০০ টাকা। তাই এই পর‌্যাপ্ত ইলিশের জোগানে বরফের দেখা মেলা ভার। মরা ইলিশ নামখানা নদীতে শুধু নয়, বিভিন্ন নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজম মত্স্যজীবী বলেন, আমরা সমুদ্রে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে বরফ নিয়ে যাই, কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি যে এতটা মাছের জোগান হবে। এমনও অবস্থা হয়েছে, বরফের জন্য আমাদের জালে গাঁথামাছ সহ ওই জাল ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে হয়েছে।
নামখানা বাজার সহ সাতমাইল, দশমাইল বাজারে ৬৫০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর ৯৫০ গ্রামের একটি ইলিশ মাছের দাম চাইছেন ৭০০ টাকা। এত কম দামে ইলিশে প্রতি বাড়িতে বাড়িতে পাত পুরে ইলিশের রকমারিতে মোজেছে সকলে। এমনকী দেখা গিয়েছে বকখালিতে যিনারা বেড়াতে এসে ছিলেন, তিনারাও কম দামের ইলিশ পেয়ে শোলার পেটিতে করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বকখালির হারবারের একজন মত্স্যজীবী বলেন, পর‌্যাপ্ত মাছের জোগান হওয়ায় ১৫০-২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকা পর‌্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে কোনও কোনও দোকানে।

বাজারে খুব বেশি মাছের দোকান খোলা ছিল না। সেখানে রুই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়। ছোট আকারের কুঁচো চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৯০ টাকায়।
দশমাইলের একজন বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকে মোটামুটি বিক্রি হয়েছে। মিষ্টি জলের মাছের বিক্রিটা কিছুটা কমে গেছে। তিনি রুই মাছ বিক্রি করছেন ১৯০ টাকা কেজি দরে। এক কেজি রুপচাঁদ বিক্রি করছেন ২০০ টাকায়। দেশি চিংড়ি বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ২৮০ টাকায়। বাগদা চিংড়ি দাম পড়েছে ৪০০ টাকা।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তিনি এসেছিলেন মাছ কিনতে। কিন্তু এখন চোখ গেছে ইলিশের দিকে। বাড়িতে পরামর্শ করে শুরু করে দিলেন দর-দাম। মাঝারি আকারের ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ কিনলেন ৩০০ টাকায়।

সোনারপুরে মাছের বাজারে দোকানই খোলা ছিল বেশ কয়েকটি। একজন দোকানদার বলেন সকাল থেকে মাত্র ২০টি ইলিশ বিক্রি করেছেন। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৩৫০ টাকাতেই বিক্রি করে ফেলছেন তিনি। তিনি আরও বললেন, ডায়মন্ডহারবার থেকে আসা ইলিশের দাম কম। কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে যেসব ইলিশ মাছ আসছে, সেগুলোর দাম বেশি। বড় আকারের এসব ইলিশের কেজি এখনো ৭০০ টাকার ওপরে।