সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যেতে চলেছে শঙ্করপুর বন্দর সহ প্রায় ছটি গ্রাম

ভাঙনের জেরে তলিয়ে যেতে চলেছে শঙ্করপুর বন্দর সহ প্রায় ছটি গ্রাম। ফলে বালিয়াড়ি আর ঝাউগাছ ক্রমশই চলে যাচ্ছে সমুদ্রগর্ভে। ২০০৩ সাল থেকে ভাঙনে বিপর্যস্ত শঙ্করপুর উপকূলের বাঁধ। কিন্তু, বাঁধ মেরামতিতে সেচ দফতরের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
পূর্ণিমায় সমুদ্রে জলস্তর বেড়ে যায়। ফলে দেখা যায় জলোচ্ছ্বাস। যার জেরে তলিয়ে যাচ্ছে বালিয়াড়ি। আতঙ্কে রয়েছেন সমুদ্রের পাশে থাকা ছটি গ্রামের বাসিন্দারা। শিগগিরই ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী বাঁধ মেরামতির দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে অর্থাভাবের কারণে এই কাজ করা যাচ্ছে না বলে সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
সেচ দফতরের কাঁথি মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বপন পণ্ডিত বলেন, শঙ্করপুর মোহনা থেকে জামুয়া পর্যন্ত দুকিলোমিটার উপকূল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। ৬০ কোটি টাকার ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। অর্থাভাবের কারণে তা করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেলেই কাজ শুরু হবে।
শঙ্করপুর উপকূলের বাঁধ মেরামতির কাজ না করা হলে তলিয়ে যেতে পারে শঙ্করপুর মত্স্যবন্দর। ভেসে যাবে স্থানীয় জোশীপুর, জলধা, ক্ষীরপাই, বোধড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। শঙ্করপুরে মত্স্যবন্দর তলিয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে এলাকার মত্স্যজীবীরা।
প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশ নায়েক বলেন, এর আগে বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জল লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। সেই সময় কোনওরকমে মেরামতির কাজ করা হয়েছিল। তারপর থেকে আর কাজ হয়নি। দ্রুত বাঁধ মেরামতি না হলে, আগামী দিনে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।