শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুয়ো কোম্পানির বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবার কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
news-image

দেশে ভুয়ো কোম্পানির বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবার কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের। বন্ধ করে দেওয়া হল ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩২টি অস্তিত্বহীন সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। অভিযোগ ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা টাকা করা হত। সেজন্য অবৈধ লেনদেন এবং করফাঁকি রুখতেই এই ব্যবস্থা।
একটি বিবৃতি দিয়ে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, যতদিন না আইনি পথে পুনরায় কোম্পানিগুলি চালু করা হচ্ছে, ততদিন ওই ভুয়ো সংস্থার মালিক কিংবা তাঁদের মনোনীত কেউই ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এই ধরনের ভুয়ো লেনদেন কিংবা ভুয়ো কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত, সেগুলিকে ইতিমধ্যে বন্ধ করতে হবে। ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে এই মর্মে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, এই ২ লক্ষ কোম্পানি আয়কর এখনও জমা দেয়নি এবং বাণিজ্যিক সংস্থা হিসেবে অন্যান্য আইনি কাজগুলিও সম্পন্ন করেনি। সেজন্য আগে তাদের শোকজ নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে গেলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। সেকারণেই কেন্দ্রের এই কড়া দাওয়াই।
জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো কোম্পানিগুলির রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাদের সই নেওয়া হয়েছিল তারা এখন সংস্থার প্রাক্তন আধিকারিক। যতক্ষণ না এই কোম্পানিগুলি ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি) দ্বারা অনুমোদিত হচ্ছে, ততক্ষণ তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকবে। এছাড়া আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে করফাঁকি দিতে, অবৈধ লেনদেন করতে কোম্পানির উঁচুপদে নিজেদের অধঃস্তন কর্মচারী এবং চাকর-বাকরদের নাম দিয়েছিলেন কোম্পানীর মালিকরা। সরকারের চোখে ধুলো দিতেই এই কাজ করেছিলেন তারা। এর ফলে সেগুলিও বন্ধ করা হয়েছে। এমনটাই দাবি তাঁদের। এর আগে, স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, নোটবাতিলের পর ৩ লক্ষ ভুয়ো কোম্পানির তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। তিনি এইধরনের কোম্পানীগুলিকে দেশের সম্পদের লুটেরা বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।