শ্রীনগর ও দিল্লির একাধিক স্থানে তল্লাশি করছে তদন্তকারীরা

কাশ্মীর সহ গোটা উপত্যকায় ব্যবহৃত পাক অর্থের খোঁজে জাল গোটাতে শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় শ্রীনগর ও দিল্লির একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের এগারোটি স্থান ও দিল্লির পাঁচটি স্থানে আপাতত তল্লাশি চালান হয়েছে। এনআইএ চিফ শরদ কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে তথ্য রয়েছে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীর থেকে অর্থ হাওয়ালা মারফত উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে। তারপরে সেই অর্থই ব্যবহৃত হচ্ছে সন্ত্রাসে। তবে এই প্রথম নয়। এরআগেও একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। তাঁদের কাছে তথ্য এসেছে, পাক অর্থে কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি আগুন জ্বালাতে মদত রয়েছে হুরিয়ত নেতা গিলানি জামাই আলতাফ আহমেদ শাহের। এই সন্দেহে তাকে একাধিকবার জেরাও করেছে এনআইএ।
সূত্রের খবর, জেরায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। তল্লাশিতে এনআইএ অফিসারদের হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, কিছু শীর্ষ স্থানীয় হুরিয়ত নেতার মদতেই সীমান্ত পেড়িয়ে পাক অর্থ ভারতে ঢুকে হাওয়ালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে কাশ্মীরসহ উত্তর ভারতে। কাশ্মীর উপত্যকায় সেই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দানে ও অন্যান্য দেশে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করতে। এছাড়া জানা গিয়েছে, লস্কর, হিজবুল ও দুখতারানের মতও জঙ্গি গোষ্ঠী গুলির সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই সমস্ত হুরিয়ত নেতাদের।