বনধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা: বিমল গুরুং

পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য জনপদ দার্জিলিংজুড়ে জ্বলছে অশান্তির আগুন। বনধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও বনধ প্রত্যাহার করেনি এখানে আন্দোলনকারী সংগঠন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রোববারও দার্জিলিংয়ের তিস্তা বাজারের ৬ মাইল আউটপোস্টে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। মোর্চার নেতা বিমল গুরং ঘোষণা দিয়েছেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের জন্য তাঁর আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে জঙ্গলে থেকে তিনি এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে পুলিশ বিমল গুরুংকে গ্রেপ্তার করার জন্য সাঁড়াশি তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের দাবি, বিমল গুরুং এখন আত্মগোপন করে আছেন সিকিমে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সিকিম পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে সহযোগিতা করছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত ২৯ আগস্ট বৈঠকের পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমন্বয়ক বিনয় তামাং এক সাংবাদিক সম্মেলনে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বনধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণাকে মেনে নিতে পারেননি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং এবং সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তাঁরা পাল্টা ঘোষণা দেন বনধ চালিয়ে যাওয়ার। অভিযোগ তোলেন বিনয় তামাং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে এই বনধ প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই ঘোষণা মানবে না দার্জিলিংয়ের মানুষ। তারা এখনো পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে অনড় রয়েছে। এদিকে বিমল গুরুং সমন্বয়কের পদ থেকে সরিয়ে দেন বিনয় তামাংকে। এর ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দার্জিলিং। পুলিশ সূত্র জানায়, গত শুক্রবার বিমল গুরুং গোপন ডেরায় কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠক ডাকেন। এই গোপন ডেরাটি ছিল দার্জিলিং ও সিকিম রাজ্যের সীমান্ত এলাকার মাঝিটারের একটি রিসর্ট। কিন্তু এই বৈঠক হওয়ার কথা পুলিশ আগাম জানতে পেরে ওই এলাকা ঘিরে ফেললে ওই বৈঠকের জন্য জনমুক্তি মোর্চার জড়ো হওয়া ১৪ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। কিন্তু ধরতে পারেননি বিমল গুরুংকে। পুলিশের আসা টের পেয়ে তিনি রিসর্টের পেছনের দরজা দিয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে পালিয়ে যান। এরপরই পুলিশ বিমল গুরুং, রোশন গিরি ও প্রকাশ গুরুংকে ধরার জন্য লুকআউট নোটিশ জারি করে।