শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেইজিংয়ে মোদির আসন্ন সফর

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭
news-image

ভারতের সঙ্গে অস্বস্তিকর সম্পর্ককে একটি ইতিবাচক আলোর ধারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে চীন। আগামী সপ্তাহে চীনে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সম্ভাব্য এক বৈঠক সামনে রেখে বুধবার এ সম্ভাবনার কথা জানায় বেইজিং।

ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েনের সম্পর্ককে সহযোগিতার সম্পর্কে পরিণত করার এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করার আগে সীমান্তে বিতর্কিত মালভূমি ডোকলাম নিয়ে সম্প্রতি গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক বিবাদে জড়িয়ে পড়ে চীন।

চীনে আগামী রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ব্রিকস’ জোটভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন। চীন ও ভারত ছাড়াও এই জোটের অন্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যোগ দেবেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলন সামনে রেখে গত সোমবার ভারত ও চীন হিমালয় সীমান্তের ওই বিতর্কিত ভূখণ্ড থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়। চীন এখনই সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু না করলেও ভারত তা শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে ডোকলামে সেনাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের অচলাবস্থার আপাতদৃষ্টিতে অবসান ঘটল।

এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আমরা সমস্যা উপযুক্ত স্থানে তুলছি ও যথাযথভাবে তা মোকাবিলা করছি কি না; পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের চেতনা ও দুই দেশের নেতাদের সম্মতির ভিত্তিতে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছি কি না সেসব বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়াং এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

নয়াদিল্লির সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জিয়ামেনে শুরু হতে যাওয়া ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানের আশা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ওই বৈঠক এ আশাই জাগাচ্ছে, দুই নেতা তাঁদের দেশের শীতল সম্পর্ক মেরামত করে তাতে উষ্ণতা আনার চেষ্টা চালাবেন।

এশিয়ায় আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় ভারত ও চীন স্বার্থের টানাটানিতে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও বলেন, ডোকলাম নিয়ে সাম্প্রতিকতম অচলাবস্থা সৃষ্টির পর ভারত ও চীন কেউই বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করতে পারবে না। তবে দুই দেশের নেতাদের আসন্ন বৈঠকে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়া শুরুর সুযোগ এনে দিতে পারে ব্রিকস সম্মেলন।