ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বের হওয়া যায় না

কিছুতেই যেন থামছে না ব্লু হোয়েল আতঙ্ক। ভারতের মহারাষ্ট্র, কেরালা, উত্তরপ্রদেশের পরে এ বার তামিলনাড়ুতেও এই মরণ গেম খেলতে গিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ছাত্র। আত্মঘাতী হওয়ার আগে সুইসাইড নোটে ১৯ বছরের এই ছাত্র লেখেন, ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বেরনো যায় না।
বুধবার বিকেলে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মাদুরাইয়ের তিরুমঙ্গলম এলাকার বাসিন্দা বিগ্নেশ। মুন্নার কলেজে বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ব্লু হোয়েলের নয়া শিকার তিনি। বিগ্নেশের হাতে তিমির ছবি আঁকা ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিগ্নেশের সুইসাইড নোটটিও। তাতে লেখা, ‘‘ব্লু হোয়েল— এটা কোনও গেম নয়, এটা সাক্ষাৎ বিপদ। তুমি এতে প্রবেশ করতে পারবে, কিন্তু কখনওই এর থেকে বেরতে পারবে না।’’
আত্মঘাতী সেই ছাত্র কিছু দিন ধরেই তার আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। এমনকী বিগ্নেশের এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছিলেন, স্বাভাবিকের থেকেও অনেক বেশি সময় মোবাইলের পিছনে ব্যয় করছেন তার বন্ধু। বিগ্নেশ ব্লু হোয়েলের গেমের শিকার বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ওই বন্ধু। কিন্তু তার অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
তামিলনাড়ুতে ব্লু হোয়েলে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। এ মাসেই এই মরণ খেলার নেশায় প্রাণ হারিয়েছেন মহারাষ্ট্র, কেরালা ও উত্তরপ্রদেশের তিনজন। প্রশাসনের তরফে অভিবাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে। রাশিয়াতে জন্ম এই মরণ অনলাইন গেমসে এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
হাত কেটে তিমির ছবি এঁকেছিল ভিগ্নেশ।