৩২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা

৩২০০ মেগাপিক্সেলের একটি ডিজিটাল ক্যামেরার উন্মোচন হতে চলেছে খুব শিগগিরই। মহাকাশ গবেষণায় এই ক্যামেরাটি ব্যবহৃত হবে বলে জানা গিয়েছে। মহাকাশ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁদের মধ্যে ডার্ক এনার্জি একটি রোমাঞ্চকর বিষয়। এই রহস্যময় মহাকর্ষ বল ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড-জুড়ে। ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের বিস্তৃতি ঘটছে খুব দ্রুত। আর বিজ্ঞানীদের আগ্রহ সেখানেই।
নতুন একটি টেলিস্কোপ বানানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একজোট হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই প্রজেক্টে ২৩টি দেশের বিজ্ঞানীরা আছেন। এই ক্যামেরাটি অসীম মহাকাশে ডার্ক এনার্জির খোঁজ করবে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে লার্জ সিনপ্টিক সার্ভে টেলিস্কোপ (এলএসএসটি)।
এই দানবীয় ডিজিটাল ক্যামেরাটি বসানো হবে পৃথিবীতে। এটি লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের বিভিন্ন গ্যালাক্সির ছবি তুলবে।
অ্যাটলাস অবস্কিউরকে ব্রুকহ্যাভেন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির এক সিনিয়র গবেষক পল ওকনর জানান, আসলে ডার্ক এনার্জি আবিষ্কারের আগে যত শক্তিশালী ক্যামেরা বানানো হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে নতুন এই ক্যামেরাটি মহাকাশে লুকোনো ডার্ক ম্যাটারগুলি খুঁজে বের করবে।
ওকনর এই প্রজেক্টটি নিয়ে ১০ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি মনে করেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে এতদিনের ধ্যান-ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
এই ক্যামেরার সেন্সর দেওয়া হয়েছে ৩২০০ মেগাপিক্সেল। কাজেই খোলা চোখে আমরা আকাশের কোনও তারাকে যেমনটা দেখতে পাই, ওই ক্যামেরা তার চেয়ে ১০০ মিলিয়ন গুণ পরিষ্কারভাবে দেখাবে।
ক্যামেরাটি ৩ মিটার লম্বা। উচ্চতা ১.৬৫ মিটার। এর ওজন ২৮০০ কেজি। মহাকাশের গবেষণায় এর চেয়ে বৃহত্ ক্যামেরা আর বানানো হয়নি। এর মাধ্যমে অতিবেগুনী রশ্মি কিংবা ইনফ্রারেড রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কাছাকাছি আলো ধরা যাবে। ২০১৯ সাল থেকে এটি কাজ শুরু করবে।