শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অস্ত্রোপচারে পায়ের বুড়ো আঙুল বসল হাতে

News Sundarban.com :
আগস্ট ৩০, ২০১৭
news-image

কারখানায় কাজ করতে গিয়ে খুইয়েছিলেন ডান হাতের বুড়ো আঙুল। অস্ত্রোপচার করে পায়ের বুড়ো আঙুল বসানো হল সেখানে। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরা এই অস্ত্রোপচার করেন।

কারখানায় কাজ করতে গিয়ে হাতের বুড়ো আঙুল কেটে যায় বছর পঁয়ত্রিশের হৃষি কুরণের। তিনমাস ধরে তা নিয়েই চলছিলেন। ডাক্তারবাবুরা কাটা জায়গাটিকে চামড়া দিয়ে ঢেকে দেন। যদিও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছিলেন না বলে কষ্ট দিনদিন বাড়ছিল।
বিষয়টির স্থায়ী সমাধান চাইছিলেন হৃষি কুরণে। সেইমতো স্থানীয় একটি হাসপাতালের ডাক্তারদের দ্বারস্থ হন তিনি। শেষমেশ ডাক্তাররা হৃষিকে বুডো আঙুল প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।
অপারেশনের পদ্ধতিটি নিয়ে হাসপাতালের কসমেটিক সার্জেন বিনোদ ভিজ বলেন, এই পদ্ধতিতে হাতের বুড়ো আঙুলের জায়গায় পায়ের বুড়ো আঙুল লাগানো হয়। ফলে কোনও অসুবিধা ছাড়াই প্রতিদিনের কাজ করতে পারবেন তিনি।

তিনি বলেন, এটা খুবই জটিল পদ্ধতি। মাইক্রো সার্জিক্যাল প্রসেস। অপারেশনটা করতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। জটিল পদ্ধতি কৌশলগত কারণে আরও জটিল হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে রোগী পায়ের বুড়ো আঙুল খোয়ান। এটা রোগীকে বোঝানো খুবই কঠিন।

হাসপাতালের ডাক্তাররা আরও জানান, হাতের বুড়ো আঙুল যদি সম্পূর্ণ বাদ যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে জোড়া লাগানো কঠিন কাজ। যদি একই শরীরের হয়, তবে পায়ের বুড়ো আঙুল থেকে সহজেই হাতের বুড়ো আঙুল তৈরি করা যায়। রোগী এখন ভালো রয়েছেন। বিভিন্ন বস্তু হাতে ধরে নিয়ে দেখতে চেষ্টা করছেন।
অপারেশনের একমাস পর হৃষি কুরণে ডান হাত দিয়ে খেতে পারবেন। এবং হাত দিয়ে কোনও বস্তু ধরতে পারবেন। তবে পুরোপুরি শক্তি পেতে বেশকিছুদিন সময় লাগবে।

বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে হৃষি কুরণে বলেন, হাতের বুড়ো আঙুল ছাড়া সবকিছু করা খুব কঠিন ছিল। আমি বাম হাত দিয়ে খেতাম। অন্য কোনও কাজ করতে পারতাম না। অপারেশনের পরে ভালো লাগছে। বুড়ো আঙুলটাতে আগের মতো শক্তি ফিরে পেতে আমি অপেক্ষা করছি।