নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হলো মহিলাদের নিয়ে সচেতনতা শিবির 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নামখানা : দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও এস্ক্যাগ ফার্মা লিমিটেড এর যৌথ উদ্যোগে আজ নামখানা নারায়ণপুর বিদ্যানিকেতন ও দক্ষিণ চন্দনপিড়িতে অনুষ্ঠিত হল নারী স্বাস্থ্য সচেতনীকরণ শিবির। নামখানাতে প্রায় ৮০ জন ও চন্দন পিড়িতে ১১০ জনের মতো ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মহিলারা এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন। নামখানাতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সুব্রত পাত্র, সুশান্ত গিরি, সংগঠনের সভাপতি অনুপ মাইতি ও সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা। এস্ক্যাগ ফার্মা লিমিটেড এর পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ সরদার ও নিমাই সাহু উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে সুব্রত বাবু বলেন, ‘বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কিভাবে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি নারী স্বাস্থ্য সচেতনীকরণ আজকের দিনে কেন প্রয়োজন সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।’ অন্যদিকে ড. বেরা বলেন, ‘সারা বছর ধরে শিক্ষা স্বাস্থ্য জীবন জীবিকা ইত্যাদি নিয়ে তাদের সংগঠন অবিরাম কাজ করে চলেছে। এবং আগামী দিনেও আরো বেশি বেশি করে সমাজে এই সচেতনতা শিবির আমরা করবো।’

সকালের মত বিকেলেও দক্ষিণ চন্দনপিড়ি ফ্লাট সেন্টারেও আরেকটি সচেতনীকরণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অতনু দাস, দক্ষিণ চন্দনপিড়ি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কমল কৃষ্ণ মাইতি, সমাজসেবী সরোজ মন্ডল সহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ। সংগঠনের পক্ষে সম্পাদক ও সভাপতি ছাড়াও সহ-সম্পাদক বিদ্যুৎ তিয়ারি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ বর্মন, পঞ্চায়েত সদস্য অতনু বেরা, দীপক মাইতি, নবকুমার গায়েন, প্রদীপ ওঝা, রিতা মানিক মাইতি ও মমতা মাইতি উপস্থিত ছিলেন। এস্ক্যাগ ফার্মা লিমিটেডের পক্ষে বিশ্বজিৎ সরদার বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের পরিবার পরিকল্পনা কতটা প্রয়োজন রয়েছে সেই বিষয়ে তিনি পুঙ্খনা পুঙ্খন ভাবে আলোচনা করেন। ফার্মা লিমিটেডের পক্ষে নিতাই শাহু নারী স্বাস্থ্য সচেতনী করণের বিষয়েও আলোচনা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সচেতনতা শিবিরে এক মহিলা বলেন, এই ধরনের সচেতনতা শিবির আমাদের গ্রামে গঞ্জে আরও বেশি বেশি করে বাড়ানো উচিত। যার ফলে আমাদের মতো গ্রামের অনেক মহিলারাও এই বিষয়ে আরো বেশি জানবে এবং উপকৃত হবে।

উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ এবং নবম স্থান অধিকার করল নামখানা ব্লকের রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের দুই পড়ুয়া

ঝোটন রয়, নামখানা : উচ্চমাধ্যমিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় জয়জয়কার। উচ্চমাধ্যমিকে এবারে রাজ্যে ষষ্ঠ এবং নবম স্থান অধিকার করেছে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের দুই পড়ুয়া। ৪৯১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন তমাল কান্তি দাস এবং ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন পবিত্র মাইতি । টিভিতে তাদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে স্কুলে এমনকি তার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রতিবেশী থেকে শুরু করে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্তারা। ফুলের তোড়া থেকে শুরু করে মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছে রাজনগর স্কুলের তমাল এবং পবিত্র।

তমাল কান্তি দাস
বাংলায় নম্বর পেয়েছে ৯৭, ইংরেজিতে ৯৮, কেমিস্ট্রিতে ৯৬,
ফিজিক্সে ১০০,
গণিতে ১০০। তমাল আগামী দিনে নিজেকে ফিজিক্সের প্রফেসর হিসেবে দেখতে চায়।

অন্যদিকে পবিত্র মাইতি বাংলায় পেয়েছেন ৯৫, ইংরেজিতে ৯৮, কেমিস্ট্রিতে ৯৮,
ফিজিক্সে ৯৬,
গণিতে ১০০,
বায়োলজিতে ৯৬।
পবিত্র আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চায়।

এই প্রসঙ্গে রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কিশোর পাত্র বলেন, খুব ভালো লাগছে আজকের আমাদের এই নামখানা ব্লকের রাজনগর বিশ্বম্ভর হাই স্কুলের দুইজন ছাত্র ষষ্ঠ এবং নবম স্থান অধিকার করেছে । এসডিও অফিস থেকে শুরু করে বিডিও, এমনকি ব্লক সভাপতি, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ, এসআই সাহেব, শিক্ষা সেলের কর্ণধার সবাই আমাদের দুজন স্কুল পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজকের এই দিনটাকে আমরা উপলব্ধি করছি। কোনো একটা ভালো কাজের জন্যই আমরা যদি প্রতিনিয়ত লেগে থাকি তাতে আমরা সাফল্য পেতে বাধ্য। নিজেদের একাগ্রতা এবং আমাদের স্কুলের যে কোচিং এর যে সিস্টেমটাকে পাথেয় করে তমাল এবং পবিত্র আমাদের স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা চাই ওরা আরো ভালো জায়গায় নিজেদেরকে উপস্থাপন করুক। আমরা আগামী দিনে পরবর্তী জেনারেশনকে তৈরি করার জন্যই আমরা একটা রসত পেয়ে গেলাম। আজ নামখানা ব্লকের একটা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো তমাল এবং পবিত্র।

প্রসুতির মৃত্যু ঘিরে গভীর রাতে হাসপাতালে ধুন্ধুমার কান্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – এক প্রসুতির মৃত্যু ঘিরে গভীর রাতে চাঞ্চল্য ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার গভীর রাত ১২ টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ‘মাতৃমা’ তে। মৃত প্রসুতির নাম অনিমা বিশ্বাস(২৭)। মৃতের বাড়ি ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের দুমকি গ্রামে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় ৮ বছর আগে একই পঞ্চায়েত এলাকার হাতামারী গ্রামের প্রভাস নস্করের মেয়ে অনিমার সাথে বিয়ে হয় দুমকি গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের। দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে।বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে ভর্তি হন অনিমা। বৃহষ্পতিবার সকালে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে জানতে পেরে খুশির বন্য বয়ে যায় বিশ্বাস ও নস্কর পরিবারে মধ্যে।তবে সেই খুশির জোয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বৃহষ্পতিবার রাত ৯ টা নাগাদ মৃত্যু হয় প্রসুতির।অন্যদিকে সদ্যজাত সন্তানের অবস্থাও সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে।

প্রসুতি মৃত্যুর খবর পেয়ে নস্কর ও বিশ্বাস পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ এলাকার শতাধিক লোকজন রাতেই মাতৃমার সামনে জড়ো হয়।সেখানে চিকিৎসার গাফিলতি তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ চিকিৎসক,নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের ওপর।গভীর রাতে এমন ঘটনায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজীর হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে।দীর্ঘ প্রায় তিনঘন্টার চেষ্টায় মৃতের পরিবার পরিজনদের কে আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অন্যদিকে সদ্যজাত শিশু সন্তানের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলে ক্যানিং থানার পুলিশের উদ্যোগে সদ্যজাত কে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।প্রসুতির মৃতদেহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা না দেওয়ায় তারা মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় কোন অভিযোগ না করলেও তাঁদের দাবী,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা তে জঙ্গলরাজ চলছে।মাতৃমা তে কর্তব্যরত চিকিৎসক,নার্স সহ অন্যান্য কর্মীরা রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার করে থাকে।ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়না।জোরপূর্বক টাকাপয়সা নিয়ে অযথা হয়রানি করা হয়। যার ফলে প্রায় প্রতিদিনই শিশু মৃত্যু সহ প্রসুতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।

মারধরের প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং – অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে নিজের স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করছিল ভাই। প্রতিবাদ করেছিলেন দাদা। প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের দাদা ও বৌদিকে বেধড়ক মারধর করে ধারালো দা দিয়ে কোপানের অভিযোগ উঠলো নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেতবেড়িয়ার খালপাড় এলাকায়।ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কুদ্দুস লস্কর।বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বেতবেড়িয়া গ্রামে লস্কর পরিবারের দুই ভাই কুদ্দুস ও আতিকুল। আতিকুল প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীর সাথে বচসা করতো। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করতো।অভিযোগ বৃহষ্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ আচমকা আতিকুল অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।

প্রতিবাদ করেন তাঁর দাদা।অভিযোগ সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আতিকুল তাঁর দাদাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে।গুরুতর জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিটে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে।সেই মুহূর্তে মারধোরের হাত থেকে স্বামীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন কুদ্দুসের স্ত্রী মারুফা লস্কর। অভিযোগ তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয় তাঁর দেওর।গভীর রাতে প্রতিবেশীদের সহায়তায় স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন মারুফা।বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আক্রান্ত দম্পতি।ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় বেলেগাছি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

রাজ্য ’দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ, রাজপথে বিক্ষোভ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাসন্তী – ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমা প্রদর্শনী রাজ্য সরকার নিষেধাঞ্জা জারি করেছে।তারই প্রতিবাদে রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বাসন্তী ১ নম্বর মন্ডল।

শুক্রবার বাসন্তী-ঝড়খালি রুটের শিবদাসী স্কুল মোড়ে পথ অবরোধ করে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।পথ অবরোধ বিক্ষোভের জেরে প্রায় ত্রিশ মিনিট যান চলাচল স্তব্দ্ধ হয়ে যায়।এদিন অবরোধ-বিক্ষোভ এ নেতৃত্ব দেন যুবমোর্চার জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমন সরদার।উপস্থিত ছিলেন বাসন্তী ১ নম্বর মন্ডলের মন্ডল কার্যকর্তা শান্তি গোপাল মন্ডল সহ অন্যান্যরা।

যুবমোর্চার জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুমন সরদার বলেন ‘পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেদের সচেতন করতে রাজ্যের প্রতিটি সিনেমা হলে “দ্য কেরালা স্টোরি“ প্রদর্শন করতে হবে।আর তা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য থাকবো।’

বিশ্ব কবির ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নামখানায় অনুষ্ঠিত হলো ম্যারাথন দৌড়

ঝোটন রয়, নামখানা: আজ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের অনুষ্ঠিত হলো ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। এই ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় শিবনগর আবাদ দ্বারিক নগর হসপিটাল মোড় থেকে বকখালি পর্যন্ত।

এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক তথা জনদরদী বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা, উপস্থিত ছিলেন বকখালি ও গঙ্গাসাগর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মালি, উপস্থিত ছিলেন নামখানা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত কুমার গিরি সহ স্থানীয় মানুষজন। নামখানা ব্লক শুধু নয় সাগর, কাকদ্বীপ, কুল্পী থেকে বহু প্রতিযোগী এই ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন। ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় করিয়ে সারা নামখানা জুড়ে একটি চমক সৃষ্টি করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা।

এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বাবু বলেন, ‘আজ ২৫ শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মদিনকে সাক্ষী রেখে আমার বাবা স্বরাজ কুমার দিন্দা এবং মা চঞ্চলাময়ী দিন্দা এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মূলত আমার এই ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিল পাঁচ হাজার এক টাকা এবং একটি সুদৃশ্য ট্রফি। দ্বিতীয় পুরস্কার তিন হাজার এক টাকা এবং একটি সুদৃশ্য ট্রফি। তৃতীয় পুরস্কার দুই হাজার এক টাকা এবং একটি সুদৃশ্য ট্রফি। এই বছর দ্বিতীয় তম বর্ষে পড়লো। আমি চাই আরো বেশি বেশি করে প্রতিযোগী এইরকম একটি ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করুক।’

১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে শ্রমিকদের কাছ থেকে দাবিপত্র নিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী

ঝোটন রয়, মৌসুনি দ্বীপ: ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেনা শ্রমিকরা। এমত অবস্থায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। আজ রবিবার সকাল সকাল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী হাজির হয়েছেন মৌসুনি দ্বীপের কুসুম তলায়। তিনি এসে ১০০ দিনের কাজের মজুরির যে অর্থ পাওয়ার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে দাবি পত্র জমা করার লক্ষ্যে সমস্ত শ্রমিকদের কাছ থেকে আবেদন পত্র তিনি নিজের হাতে নেন। তিনি শ্রমিকদের বলেন, এবং আশ্বাস দেন যে আমি সম্পূর্ণভাবে চেষ্টা করছি কিভাবে আপনাদের পাওনা টাকা আপনারা পেতে পারেন।

এই আবেদনপত্র পূরণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মৌসুমী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাসনা বানু বিবি, উপস্থিত ছিলেন নামখানা ব্লকের প্রাণী ও মৎস্য দফতরের আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কর্মী সহদেব মাইতি, উপস্থিত ছিলেন ব্লক নেতৃত্ব বিশ্বজিৎ নাইয়া, সুশীল পাত্র, কাইম খাঁ সহ তৃণমূলের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।

এই প্রসঙ্গে মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শ্রমিকদের টাকা আটকে রয়েছে। আজ ৩০০ জন শ্রমিক এসে নিজেদের হাতে মন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবি পত্র তুলে দিয়েছেন।’ সত্যি ভাবতে অবাক লাগে শ্রমিকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই কাঠফাটা রোদ্রে যেভাবে শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করে তারা রুজি রোজগার চালাচ্ছে তার দাম যদি না পায় তাহলে তো সমস্যা থাকবে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী সহদেব মাইতি বলেন,’ প্রত্যেক সুপারভাইজার এবং রাজনৈতিক দলীয় কর্মীদের মনে যে স্পিড জাগিয়েছেন মন্ত্রী। এই শ্রমিকদের কাছ থেকে দাবি পত্র নেওয়া এটা সত্যি দরকারই ছিল। টাকা পেতে মানুষের দেরি হোক কিন্তু শ্রমিকদের হাত থেকে মন্ত্রী যে তাদের দাবিপত্র নিয়েছেন এতে শ্রমিকরা খুব খুশি। আমাদের সুন্দর বন উন্নয়ন মন্ত্রী খুব শীঘ্রই এর কোন না কোন ব্যবস্থা করবেন।’

 

অন্যদিকে ও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এমনই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী মানুষজন কেমন আছেন, কি অবস্থাতে রয়েছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খন ক্ষতিয়ে দেখলেন মন্ত্রী। তিনি এসে বাইকে করে মৌসুনির নদী বাঁধ ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরে দেখেন। ফ্লাড সেন্টার গুলোও পরিদর্শন করেন। এবং এই ঘূর্ণিঝড়ে কিভাবে মানুষজন তাদের নিজেদের নিরাপত্তায় থাকবে তারও তিনি একটা ব্যবস্থা করেন। ত্রাণ শিবির গুলো যাতে দ্রুততার সহিত ব্যবস্থা নিতে পারে, এবং পুলিশ প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছেন।

নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হলো তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মশালা

ঝোটন রয়, নামখানা: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ নামখানা ব্লকে অনুষ্ঠিত হলো তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মশালা। নামখানা ব্লকের হাসপাতাল মোড়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মশালা উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার, উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তথা গঙ্গাসাগর ও বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মালি, প্রাক্তন প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ দাস, নামখানা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালি মন্ডল সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মহা ধুমধামে অনুষ্ঠিত হলো নামখানা ব্লকের চৌদ্দমাদল উৎসব

ঝোটন রয়, নামখানা: মহা ধুমধামে পালিত হলো শিবরামপুর গায়েনের বাজারের চৌদ্দমাদল উৎসব। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রামের গায়েনের বাজারে এই চৌদ্দমাদল উৎসবটি প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ চার বছর চৌদ্দমাদল উৎসব বন্ধ থাকার পর এই বছর বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা চৌদ্দমাদল উৎসব কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার দিন্দার উদ্যোগে ১৭ বছরে আবার এই উৎসবটি শুরু হলো। এই পাঁচ দিনের উৎসবটিকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত মন্ডলী এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা উৎসব প্রাঙ্গণ। গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে কুটুম বন্ধু থেকে শুরু করে আত্মীয় পরিজনের সমাগম ঘটে।

 

এই প্রসঙ্গে উৎসব কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার দিন্দা বলেন, মানুষের আবেগ এই হরিনাম, কৃষ্ণ নাম সংকীর্তন। কলিযুগের শ্রেষ্ঠ নাম হচ্ছে হরিনাম সংকীর্তন। ৪ বছর বন্ধ থাকার পর এই গায়েনের বাজার শিবরামপুর চৌদ্দমাদল উৎসবকে ঘিরে মানুষের যে আবেগ আজও অব্যাহত রয়েছে। সেটা অন্য ভোগ গ্রহণ ও দধি প্রসরার দিন সেটা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। এই চৌদ্দমাদল উৎসবে আমরা পরিক্রমা করেছিলাম। উৎসব প্রাঙ্গন থেকে নামখানা তারপর আমরা দশ মাইল পর্যন্ত এই পরিক্রমা করি। সেখানে প্রচুর সংখ্যক ভক্তবৃন্দ এবং ভক্তিমতী মায়েরা এই পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করেছিল। তিনি আরো বলেন, আমরা এই ভাবে হরিনাম, কৃষ্ণনাম মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চাই।

উৎসব কমিটির সম্পাদক রাজকুমার দাস বলেন, অনিবার্য কারণবশত চার বছর বন্ধ থাকার পর আমরা ভাবতে পারিনি এত মানুষের সমাগম হবে এই চৌদ্দমাদল উৎসবকে ঘিরে। ছয় হাজারের ওপর মানুষজন অন্য ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। দধি প্রসরার দিন ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটেছিল। যে মাঠটায় দধি প্রসরা হয়েছিল সেই মাঠে আমরা জায়গা দিতে পারিনি তাই এবছর অনেক ভক্ত ফিরে গিয়েছেন। এই চৌদ্দমাদল উৎসবে ১৪ টি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আগমন হয়। দূর দুরান্ত থেকে এই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে নিয়ে আসা হয়। এই উৎসবকে ঘিরে ছিল রক্তদান শিবির, চক্ষু পরীক্ষা শিবির। যেখানে ১১৫ জন রক্তদাতা রক্ত দিয়েছেন।

সারারাত্রি ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো নামখানা ব্লকের গ্রামীন মেলা

ঝোটন রয়, নামখানা: ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিনদিনের গ্রামীণ মেলা। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো এই গ্রামীণ মেলা। এই মেলার পরিসমাপ্তি ঘটে ধাপাস বল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। নামখানা ব্লক, কাকদ্বীপ, সাগর ও পাথর প্রতিমার মোট ৩২টি টিম এই ধাপাস খেলায় অংশগ্রহণ করে। দুই রাত্রি ধরে অনুষ্ঠিত হল ধাবাস বল টুর্নামেন্ট। রাত্রিবেলা দর্শকের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এক সময় গ্রামবাংলায় ক্রিকেট খেলার প্রবনতা ছিল বেশ ভালো। কিন্তু আজ সেই ক্রিকেট খেলার টুর্নামেন্ট অনেকাংশ কমে গিয়েছে বললেই চলে। কিন্তু ধাপাশ বল খেলার যে আগ্রহ প্রবনতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গ্রামের ছোট ছোট ছেলে থেকে শুরু করে বড়রাও এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

দুই দিনের ধাপাস বল প্রতিযোগিতায় প্রাইজ বিতরণের দিনে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা, উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ধীরেন কুমার দাস, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী অখিলেশ বারুই, অতনু দাস, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিরুপমা সিট, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বেরা সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে সোসাইটির সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা বলেন, গ্রাম বাংলায় এই খেলার প্রবণতা অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই ধাপাস খেলা গ্রামবাংলায় খুবই জনপ্রিয়। এবছর এই ধাপাশ টুর্নামেন্ট আমাদের চার বছরে পদার্পণ করলো। দিনের বেলায় প্রচন্ড রৌদ্রের জন্যে আমরা এই খেলাটিকে রাত্রিতে পরিচালনা করেছি।

ধাপাস খেলার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে শুভম সংঘ, তাদের হাতে একটি সুদৃশ্য ট্রফি ও ৭ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে জে এস চন্দনপিড়ি, তাদের হাতে একটি সুদৃশ্য ট্রফি ও পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।